তোলাবাজির নালিশ, প্রতিবাদে অবরোধ

পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় তোলাবাজির প্রতিবাদে রাস্তায় অবরোধের জেরে শনিবার দিনভর অবরুদ্ধ থাকল রামপুরহাট থানার শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল। কাষ্টগড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ আম্বা মোড়–ঠাকুরপুরা রাস্তার উপর কাষ্টগড়া গ্রাম সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠ এলাকায় শনিবার সকাল থেকে পথ অররোধ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হস্তিকাঁদা মোড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে পাথর ভর্তি করে ফেরার সময় বেশ কয়েকটি লরি চালকের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করছিল কয়েকজন যুবক। কাষ্টগড়া গ্রামের কয়েকজন যুবক এর প্রতিবাদ করলে ওই যুবকদের বচসা বেধে যায়। এরই প্রতিবাদে কাষ্টগড়া গ্রামে শনিবার সকালে রাস্তা অবরোধ করেন ওই গ্রামবাসীদের একাংশ।

কাষ্টগড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল মালিক সমিতির সদস্য জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘‘হস্তিকাঁদা মোড়ে কয়েকজন যুবক পাথর শিল্পাঞ্চলে পাথর ভর্তি করতে বাইরে থেকে আসা লরিচালকদের কাছ থেকে জোর করে, মারধর করে প্রায় দিন তোলাবাজি করছে। এর ফলে লরি চালকরা আর্থিক এবং মানসিক দিক থেকে অসহায় বোধ করে এলাকাবাসীর দ্বারস্থ হচ্ছেন। পুলিশ ও প্রশাসনকে একাধিক বার এ ব্যপারে বলা সত্ত্বেও ওই সমস্ত তোলাবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় তোলাবাজি করার প্রতিবাদে এলাকার যুবকরা প্রতিবাদ করলে ঝামেলা বেধে যায়। তারই জেরে এ দিন তোলাবাজি বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ করা হয়।’’

এ দিকে এলাকায় রাস্তা অবরোধ হওয়ার ফলে শালবাদরা শিল্পাঞ্চল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এলাকায় বাইরে থেকে পাথর ভর্তি করতে আসা প্রায় দুশো লরি শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঢুকতে পারেনি। শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল মালিক সমিতির মুখপাত্র সৈয়দ মৈনুদ্দিন হোসেন বলেন, ‘‘ঠাকুরপুরা থেকে আম্বা মোড় এই আঠার কিলোমিটার রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে হস্তিকাঁদা মোড়ে তোলাবাজি চলছে। আমরা চাই সব জায়গায় তোলাবাজি বন্ধ হোক।’’

পুলিশ সকালে অবরোধ তুলতে গেলেও অবরোধ ওঠেনি। এসডিপিও এবং এসডিও কেউই এ দিন ফোন ধরেননি।