তৃণমূল নেতা খুন বীরভূমের নানুরে। দলীয় কার্যালয় থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর মাথায় শাবল মেরে আঘাত করার অভিযোগ উঠল কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শুধু তাঁকে একা নয়, ওই নেতার সঙ্গে থাকা আরও কয়েক জনের উপরও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাসবিহারী সর্দার ওরফে দদনের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নানুরের থুপসারা অঞ্চলের পাতিসারা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে অন্য তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে বাসাপারা পার্টিঅফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঞ্চাশের রাসবিহারী। পথে আচমকাই তাঁদের পথ আটকায় কয়েক জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, বাঁশ, লাঠি, শাবল দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়। কারও মাথা ফাটে, কারও হাত-পায়ে আঘাত লাগে। রাসবিহারীর মাথায় শাবলের ঘা মারা হয় বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়েরাই সকলকে নতুনহাট হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় রাসবিহারীর। বাকি তিন জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। হামলার কারণও স্পষ্ট নয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই তৃণমূল নেতার গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হন রাসবিহারী। অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। রাসবিহারী এবং আহতেরা কাজলের ঘনিষ্ঠ। আর হামলাকারীরা অনুব্রতের গোষ্ঠীর। যদিও এখনও হামলাকারীদের খোঁজ মেলেনি।
দিন কয়েক আগেই হাওড়ার নিশ্চিন্দা সাপুইপাড়া বসুকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবব্রত মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগীর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির কাছে আচমকাই তাঁদের উপর পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে এক দুষ্কৃতীর পরিচয় পাওয়া যায়। জানা যায় সুমন চৌধুরী ওরফে বাসু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গুলি চালান। তবে ঘটনার ন’দিন পরেও তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি।