দুর্গাপুজোর চল নেই গ্রামে। তাই রথ উৎসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সবাই। সেই উৎসব এখন গ্রামের সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।
খাতড়ার কুঁড়েবাকড়া গ্রামে গত ১৫ বছর আগে চালু হওয়া রথ উৎসব সম্প্রীতির নজির হয়ে উঠেছে। এক মুসলিম যুবকের দেওয়া রশি দিয়েই টানা হয় রথ। আয়োজনেও থাকেন সংখ্যালঘু যুবকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামে ৮০টি পরিবারের বাস। তার মধ্যে প্রায় ২০টি পরিবার মুসলিম। রথের আয়োজক কুঁড়েবাকড়া বিবেকানন্দ স্মৃতি সঙ্ঘের সম্পাদক আশিস মাহাতো বলেন, "২০০৮ সালে ক্লাবের উদ্যোগে রথ উৎসব শুরু হয়। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে গ্রামের সবাই চাঁদা দিয়ে সহযোগিতা করেন। রথের প্রস্তুতির কাজও সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করেন।’’
কমিটির সদস্যেরা জানান, এই গ্রামে সবাই মিলেমিশে বাস করেন। তাই গোড়াতেই ঠিক করা হয়, গ্রামের কোনও সংখ্যালঘু পরিবারের দেওয়া দড়ি ধরে রছ টানবেন ভক্তেরা। সেই থেকে রথের দড়ি গিয়ে আসছেন গ্রামের যুবক, বর্তমানে সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ রমজান আলি। তিনি বলেন, "আগে চাঁদা আদায় থেকে রথের সব কাজ করতাম। কাজের চাপে এখন সে সুযোগ হয় না। তবে প্রতি বছর রথের রশি যায় আমার বাড়ি থেকে। আগামী দিনেও রশি দিয়ে যাব।’’
পড়শি শেখ নজরুল আলি, সিরাজুল আলিরা জানান, ধর্মের ভেদাভেদ না করে তাঁরাও রথ উৎসবের প্রস্তুতিতে মেতে আছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)