E-Paper

পারদ নামার সঙ্গে বাড়ল শীতবস্ত্রের বিক্রিও

এ বার ঠান্ডা দেরিতে পড়ায়, শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসলেও বিক্রি আশানুরূপ ছিল না বলে দাবি বিক্রেতাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৬
চলছে কম্বল বিক্রি। সিউড়ির স্টেশন বাজার এলাকায়।

চলছে কম্বল বিক্রি। সিউড়ির স্টেশন বাজার এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।

নিম্নচাপ-সহ নানা বাধাবিপত্তি কাটিয়ে অবশেষে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বীরভূমে। বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট— তিনটি মহকুমাতেই গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার নামছে পারদ। রবিবার সকালের জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে পারদ আরও বেশ কিছুটা নামার সম্ভাবনা আছে। আর শীত বাড়তেই জেলায় বিক্রি বেড়েছে শীতবস্ত্রের।

সাধারণত নভেম্বরের মাঝ থেকেই জেলায় শীতবস্ত্রের বিক্রি বাড়ে। কিন্তু এ বার ঠান্ডা দেরিতে পড়ায়, শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসলেও বিক্রি আশানুরূপ ছিল না বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার করে বদলেছে পরিস্থিতি। পারদ নামার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে। সিউড়ির কোর্ট বাজার এলাকায় সার দিয়ে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা বসেন। সেখানে গত কয়েক দিন শীতবস্ত্রের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে।

ব্যবসায়ী ফারুক আলম বলেন, “তিন-চার দিন আগে পর্যন্তও দিনে ৩,০০০-৩৫০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছিল না। গত দু’-তিন দিন ধরে বিক্রি হয়েছে ৭,৫০০ থেকে ৮,০০০ টাকার। যদিও, গত বছর এই সময়ে দৈনিক গড়ে ১২,০০০ টাকার বিক্রি হয়েছে।” এই বিক্রি কমার জন্য ছোট দোকানগুলি শপিং মল ও গ্রামের ফেরিওয়ালাদের দায়ী করেছে।

বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ সুব্রত ভকত বলেন, “যাঁরা বাইরে থেকে শহরে আসছেন, তাঁরা হয়তো মলে জিনিস কিনতেই বেশি পছন্দ করছেন। তবে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ায় গত কয়েক দিনে শীতবস্ত্রের বিক্রিও কম করে ৩০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” তবে তাঁর সংযোজন, “পৌষমেলায় তুলনামূলক কম দামে শীতবস্ত্র মেলে। জেলার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের একাংশ তাই মেলার অপেক্ষা করছেন।”

শীতবস্ত্রের পাশাপাশি পুরনো লেপ ভেঙে নতুন লেপ তৈরি করা বা নতুন ব্ল্যাঙ্কেট কেনার ঝোঁকও
বেড়েছে। রামপুরহাটের এক লেপ-কম্বলের দোকানের মালিক আইনুল কুরেশি বলেন, “নতুন লেপের বিক্রি এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। অধিকাংশ মানুষই এখন কম্বল বা ব্ল্যাঙ্কেট কিনতে বেশি স্বচ্ছন্দ। বিয়েবাড়িতে উপহার দেওয়ার জন্যও অনেকে ব্ল্যাঙ্কেট কিনছেন। তবে, প্রতি বছরই পুরনো লেপের কাপড় বদলানো, তুলো ধোনার জন্য অনেকে দোকানে আসেন। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suri Woolen Clothes

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy