Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Arun Jaitley

জেটলির ভূমিকা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক খোলায়: শতাব্দী

অনুৎপাদক ঋণ বেশি হয়ে যাওয়ায় এবং ন্যূনতম যে টাকা তাদের কাছে গচ্ছিত রাখার কথা (সিকিওরিটি মানি), তা না থাকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক  ২০১৪ সালের মে মাসে বীরভূম কেন্দ্রীয় সমবায়  ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে।

 মাঠে: ফুটবল টুর্নামেন্টে এসে সাংসদ শতাব্দী রায়। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

মাঠে: ফুটবল টুর্নামেন্টে এসে সাংসদ শতাব্দী রায়। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:১৮
Share: Save:

একটা সময় যে ব্যাঙ্কে তালা ঝুলে গিয়েছিল, সেই ব্যাঙ্ক পুনরায় লাভের মুখ দেখেছে। গ্রাহকদের আস্থা পুনরায় ফিরে পেয়েছে। সেই বীরভূম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক আয়োজিত আদিবাসী ফুটবলের আসরে এসে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় দাবি করলেন, বীরভূম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের লাইসেন্স ফেরত পাওয়ার বিষয়ে প্রয়াত ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ভূমিকা ছিল।

অনুৎপাদক ঋণ বেশি হয়ে যাওয়ায় এবং ন্যূনতম যে টাকা তাদের কাছে গচ্ছিত রাখার কথা (সিকিওরিটি মানি), তা না থাকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০১৪ সালের মে মাসে বীরভূম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে। ওই ব্যাঙ্কের জেলা জুড়ে থাকা ১৭টি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে পুরোপুরি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন কয়েক লক্ষ গ্রাহক, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য এবং তিন শতাধিক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি, ও ব্যাঙ্কের কর্মীরা। বিস্তর টানাপড়েনের শেষে প্রায় এক বছর পর রাজ্য সরকার, নাবার্ড ও কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ কোটি টাকার বেশি দিয়ে ব্যাঙ্ক বাঁচানোর চেষ্টা করলেও লাইসেন্স পাচ্ছিল না কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক। হাইকোর্ট ব্যাঙ্ক খোলার নির্দেশ দিলেও বেশ কিছু শর্ত পূরণ না করলে লাইসেন্স দেবে না জানিয়ে দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেসব পূরণ করলেও মিলছিল না লাইসেন্স। ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবরে ফের লাইসেন্স দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের উদ্যোগে শনিবার থেকে সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দপুরে গোটা জেলার ১৯টি ব্লক থেকে দল নিয়ে আদিবাসী ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। সেখানেই শতাব্দী বলেন, ‘‘নুরুলদা (কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম) আমাকে জানিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কের এই অবস্থা। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, উনি আমার কথা রেখেছিলেন। বারবার ওঁর সঙ্গে দেখা করায় কাজটা করে দিয়েছিলেন।’’ নুরুল ইসলামের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার টাকা দেওয়ার পরেও যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ছাড়পত্র দিচ্ছিল না, তখন সাংসদকে সেকথা জানাই। তাঁকে সমস্ত নথিপত্র দিয়েছিলাম। শতাব্দী রায় অর্থমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে দরবার করেছিলেন এবং সেটা কাজে কাজে লাগে লাইসেন্স পেতে।’’

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অসহযোগিতা করে—সচরাচর এমন অভিযোগই করে থাকে এ রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অরুণ জেটলির ভূমিকার ‘স্বীকৃতি’ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ— এ কথা শুনে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সত্যি কথাটা বলার জন্য ধন্যবাদ সাংসদকে। আসলে কেন্দ্রীয় সরকারে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা সব সময় চেষ্টা করেন সব রাজ্য যেন সমান সুযোগ সুবিধা পায়। কেন্দ্র-রাজ্য পারস্পরিক সহযোগিতা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কথায় কথায় এ রাজ্যের শাসকদলই বিজেপি-ভূত দেখে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arun Jaitley Satabdi Roy Central Bank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE