মাঝেমধ্যেই ‘হুজ্জুতি’ করেন দোকানে দোকানে। এটা-সেটা নিয়ে চলে যান। দাম দেওয়া তো অনেক দূরের কথা, কোনও দোকানদার দাবি মতো জিনিস কিংবা টাকা দেবেন না বললেই শুরু করতেন মারধর। রবিবারও একটি দোকানে গিয়ে পছন্দমতো জামাকাপড় তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন যুবক। ওই দোকানদার বাধা দেন। সাফ জানান, ‘হপ্তা’ দিতে পারবেন না। তাতেই ‘ক্ষিপ্ত’ ওই যুবক ব্লেড বার করে দোকানদারের পেটে বসিয়ে টেনে দেন বলে অভিযোগ। যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন দোকানদার। তখন পালাতে গিয়ে অন্য দোকানদারদের হাতে ধরা পড়েন আক্রমণকারী। পরে পুলিশ আটক করে নিয়ে গিয়েছে তাঁকে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায়।
রবিবার মাচানতলা এলাকার বেশির ভাগ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তার ধারে নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন হকাররা। অভিযোগ, ওই হকারদের কাছ থেকে ‘হপ্তা’ হিসাবে বিভিন্ন জিনিস তুলে নিচ্ছিলেন পুচু মালাকার নামে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। জয় কুন্ডু নামে জামাকাপড় নিয়ে বসা এক হকার অবশ্য বাধা দেন পুচুকে। তিনি জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে একটি জিনিসও তিনি দেবেন না। তাই শুনে বিরক্ত পুচু হুমকি দেন। দু’জনের বচসা শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই সময় ট্রাউজার্সের পকেট থেকে ব্লেড বার করে জয়ের পেটে চালিয়ে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন যুবক। অন্যান্য হকার ছুটে গিয়ে পুচুকে আটকানোর চেষ্টা করলে ব্লেড হাতে নিয়ে তাঁদের ভয় দেখান তিনি। তখন কিছু দূরে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে ছুটে যান কয়েক জন দোকানদার। ট্র্যাফিক পুলিশের সহায়তায় হকারেরা এর পর পুচুকে ধরে হাত-পা বেঁধে রাস্তায় বসিয়ে রাখেন। খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। আহত দোকানদারকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রের খবর, পুচু নামের ওই যুবক যখন তখন দোকানদারদের উপর জুলুমবাজি করেন। তাঁর শাস্তির দাবি তুলেছেন মাচানতলা বাজারের দোকানদারেরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।