বিধায়ক পদ থেকে বুধবার ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার সচিবের কাছে সেই চিঠি দিতে যাওয়ার সময়ে মার্শাল ছাড়া তাঁর সঙ্গে ছিলেন শুধু পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ওই ঘটনার পর থেকেই জেলার রাজনীতির ওঠাপড়ার নিয়মিত পর্যবেক্ষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে সুদীপবাবুর দাবি, বিধানসভায় তাঁকে দেখতে পেয়ে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।
সুদীপের সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তৃণমূল প্রতিষ্ঠার সময়ে দলের যুব সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন সুদীপ। শুভেন্দু তখন ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। রাজ্যে পালাবদলের সময়েও সুদীপ তৃণমূলে ছিলেন। ২০১৪ সালের গোড়ায় তাঁকে জেলা যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই সুদীপের সঙ্গে দলের জেলা নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়তে থাকে। কয়েক মাস পরেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেও শুভেন্দুর সঙ্গে সুদীপের সম্পর্ক ভাল ছিল। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে সুদীপ পুরুলিয়া থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হন। বিধানসভার অলিন্দে দু’জনের নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হত। এ দিকে, গত লোকসভা ভোটে পুরুলিয়ার আসনে কংগ্রেসের হয়ে নেপাল মাহাতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দলের বিধায়ক সুদীপকে সক্রিয় ভাবে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল, সুদীপ নিজের এলাকায় প্রচারে রয়েছেন। পরে মায়ের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু দিন তাঁকে বাইরেও থাকতে হয় বলে জানানো হয়েছিল।