প্রশান্ত কিশোর।
বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের একাধিক ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে নতুন ব্লক সভাপতিদের নাম সামনে এসেছে। কারা সরবেন ব্লক সভাপতি পদ থেকে, নতুন মুখ কে হবেন ,তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বেশ কিছু জেলায়। বিষয়টিকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে নেতা কর্মীদের মধ্যে। বাড়ছে উত্তেজনাও। কিছু জেলায় বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে। সেই সব জেলার তালিকায় না পড়লেও কয়েকজন ব্লক সভাপতি পরিবর্তিত হতে পারেন বলে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন ছড়িয়েছে বীরভূমেও।
দলীয় সূত্রের দাবি, সংগঠনের প্রতি দায়িত্ব ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নিরিখে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের দলের পরামর্শ রয়েছে কোন কোন ব্লক সভাপতিকে পরিবর্তন করা হবে। সেই তালিকা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেও গিয়েছে। সেটাই চূড়ান্ত, নাকি অনুব্রত মণ্ডলের জেলার তাঁর কথাই শেষ কথা হবে তা এখনও না জানা যাওয়ায় গুঞ্জন চলছে। যদিও দু-একটি পরিবর্তন যে নিশ্চিত, তা দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।
জেলায় ১১টি বিধানসভার মধ্যে ৯টি তৃণমূলের দখলে। নানুর ও হাঁসন দুটি আসন পেয়েছিলেন বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস। লাভপুর তৃণমূলের দখলে থাকলেও বিধায়ক মনিরুল ইসলাম দল পরিবর্তন করায় সাংগঠিনক কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না সেটা সময় বলবে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে ১১টির মধ্যে ৫টি বিধানসভায় বিজেপির থেকে পিছিয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতাই সামনে এসেছিল। সেই তালিকায় দুবরাজপুর সিউড়ি, ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া ও রামপুরহাট বিধানসভা রয়েছে। হারের জন্য মেরুকরণ ও বিজেপি হাওয়াকে কাঠগড়ায় তুললেও, দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য জনসংযোগের অভাব, নেতাদের দুর্নীতি এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও সামনে এসেছে। যাঁর দায় ওই বিধানসভা এলাকার মধ্যে থাকা ব্লক সভাপতিরা এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেই দাবি কর্মীদের অনেকের।
জেলায় খয়রাশোল ব্লকে কোনও ব্লক সভাপতি নেই। দলে গুঞ্জন, পিকের দলের ‘ব্যাড বুকে’ রয়েছেন, দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র, সিউড়ি ১ ব্লকের স্বর্ণশঙ্কর সিংহ, ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের সভাপতি অভিজিৎ রায়, যিনি বিধায়কও বটে। রিপোর্ট কার্ড ভাল নয় মুরারই ২ ব্লকের ব্লকসভাপতি আফতাবউদ্দিন মল্লিক ওরফে মন্টু এবং মুরারই ১ ব্লকের ব্লকসভাপতি বিনয় কুমার ঘোষেরও। গুঞ্জন রয়েছে মহম্মদবাজারের ব্লক সভাপতি তাপস সিংহকে নিয়েও।
টিম পিকে-র প্রস্তাব বা সমীক্ষা মেনে সভাপতি রদবদল হবে, নাকি পুরনো সংগঠকদের রেখেই বিধানসভা ভোটের জন্য ঝাঁপাবে দল, চর্চার কেন্দ্রে আপাতত সেই বিষয়ই। জেলার বেশ কয়েকজন ব্লক সভাপতি অবশ্য বলছেন, ‘‘দলের হয়ে, দলের স্বার্থে কাজ করে চলেছি। আর এ নিয়ে কিছু ভাবতে চাই না।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলছেন, ‘‘একজনকে সরতে হচ্ছেই বাকিদের কী হবে, সেটা সময় বলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy