বিশ্বভারতীর পূর্বিতা বাংলো। —নিজস্ব চিত্র।
উপাচার্যের বাংলো পূর্বিতা থেকে রবিবার সকালে বেরিয়ে গেলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি বাংলোয় ফিরে আসেননি। তিনি আর বাংলোয় ফিরে আসবেন কি না, তাও নিশ্চিত নয়। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতীতে।
মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় ৮ নভেম্বর উপাচার্য পদ থেকে অবসর নেন বিদ্যুৎ। কিন্তু এর পরেও তিনি পূর্বিতা না ছাড়ায় পড়ুয়া, শিক্ষক, কর্মী ও আশ্রমিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। তাঁদের অভিযোগ, প্রাক্তন উপাচার্য বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবহার-সহ সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চলেছেন। বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে মেল করে। এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়। সেখানে পড়ুয়া, শিক্ষক, আশ্রমিকদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও যোগ দেন।
সূত্রের খবর, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফেও দিন কয়েক আগে প্রাক্তন উপাচার্যকে পূর্বিতা বাংলো খালি করে দেওয়ার জন্য ই-মেল করা হয়। এর পরে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি পূর্বিতাতেই থাকতে চান বলে বিদ্যুতের আইনজীবী মারফত একটি ই-মেল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আসে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তা মঞ্জুরও করেন বলে সূত্রের খবর।
এর পরেই এ দিন সকালে বিদ্যুৎ বাংলো থেকে বেরিয়ে যান। তবে তিনি কোথায় গিয়েছেন বা আবার তিনি পূর্বিতায় ফিরে আসবেন কি না— সে বিষয়ে জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে ভিবিইউএফএ-এর সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যদি চলে যান তা হলে মোবাইল ফোন-সহ তাঁর হেফাজতে থাকা বিশ্বভারতীর সম্পত্তি তিনি ফেরত দিয়ে গিয়েছেন কি না তা আমরা জানতে চাই।” যদিও বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, “এ নিয়ে আমার কাছে কোনও সরকারি তথ্য নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy