E-Paper

বিচারপতি ঠিক বলেছেন, বিশ্বভারতীতে মত অনেকের

উপাচার্যের নানা কাজকর্ম নিয়ে যে অংশ ক্ষুব্ধ, বিশ্বভারতীর সেই প্রাক্তনী, অধ্যাপক থেকে শুরু করে আশ্রমিকদের এক বড় অংশ বিচারপতির মন্তব্যকে ‘যথাযথ’ বলেই মনে করছেন।

বাসুদেব ঘোষ 

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩১
উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী (বাঁ দিকে), অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী (বাঁ দিকে), অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তাঁর পদ থেকে ‘অবিলম্বে অপসারণ’ করা উচিত বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির এই মন্তব্য ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে শান্তিনিকেতনে ও বিশ্বভারতীর অন্দরে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প ‘সার্ন’-এ তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতি। সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, উপাচার্য পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে সরানো উচিত। অধ্যাপককে ‘সার্ন’ প্রকল্পে আটকানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য ছিল, ‘‘বাঙালি এই কারণেই কাঁকড়ার জাত!’’

উপাচার্যের নানা কাজকর্ম নিয়ে যে অংশ ক্ষুব্ধ, বিশ্বভারতীর সেই প্রাক্তনী, অধ্যাপক থেকে শুরু করে আশ্রমিকদের এক বড় অংশ বিচারপতির মন্তব্যকে ‘যথাযথ’ বলেই মনে করছেন। ওই অংশের দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে উপাচার্য বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যের ‘পরিপন্থী’ যে সমস্ত কাজকর্ম করে গিয়েছেন, তার সঠিক মূল্যায়ন করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের অভিমত, “বিচারপতির কথা মতো উপাচার্যের এ বার সরে যাওয়া উচিত।” আর এক আশ্রমিক অনিল কোনারের মন্তব্য, “বিচারপতি যথার্থই বলেছেন। আমরাও চাই, অবিলম্বে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হোক।’’

বিশ্বভারতীর একাংশ অধ্যাপকদের অভিযোগ, শুধু মানস মাইতিকেই নয়, বর্তমান উপাচার্যের কার্যকালে একাধিক অধ্যাপক-অধ্যাপিকার বিদেশযাত্রা নানা কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ আটকেছেন। বিচারপতির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ও প্রাক্তন কর্মী সৌরীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রোজই বিশ্বভারতী সম্পর্কিত কোনও না কোনও খারাপ খবর শুনছি। এটা স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ হতে পারে না। তাই বিচারপতি যা চাইছেন, সেটা হলেই বিশ্বভারতীর মঙ্গল হবে বলে আমি মনে করি।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করেছে বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ-ও। সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “হাই কোর্ট এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অনেকবার উপাচার্যকে ভর্ৎসনা করেছে। ওঁর কার্যকলাপের জন্য জরিমানাও ধার্য করেছে। তাই বিচারপতির এমন মন্তব্যে পরে তাঁর ওই পদে আর থাকা উচিত নয়।”

উপাচার্য ফোন ধরেননি। মোবাইল-বার্তার জবাবও মেলেনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bidyut Chakraborty Calcutta High Court

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy