শোকস্তব্ধ বনলতাদেবী। (ডান দিকে উপরে) সৌরভ ও (ডান দিকে নীচে) অনীক। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার রাতে পাঁচিল চাপা পড়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে দুবরাজপুরের সারদাপল্লির সব বাসিন্দাকে। কেউ মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না ওই মর্মান্তিক ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বাইরের সিমেন্টের পলস্তরা থাকলেও মাটির গাঁথনি করা প্রপায় ৮ ফুট উঁচু ওই পাঁচিলটি তৈরি হয়েছে কয়েক দশক আগে। জলনিকাশির জন্য একটা গর্ত রাখা থাকলেও পরে সেখানে মাটি পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার দু’ঘণ্টার বৃষ্টিতে জল পাঁচিলের গোড়ায় জমতেই তা ভেঙে পড়ে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।
দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক সত্যশিবানন্দ অবশ্য বলছেন, ‘‘পাঁচিল ভেঙে পড়ার কোনও লক্ষণ ছিল না। জল জমতেও দেখিনি আগে। প্রতিদিন ওই রাস্তায় পেরিয়ে যাওয়াআসা করি। যা বলা হচ্ছে, তেমনটা হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতাম।’’ তিনি জানান, জলনিকাশের জন্য পাঁচিলের বাইরের দিকে গর্তও ছিল। টানা বৃষ্টিতে জলের সঙ্গে ভেসে আসা আবর্জনায় নিকাশির পথ ঢেকে গিয়েছিল হয়তো।
এ দিন আশ্রমের পক্ষ থেকে মাটি কাটার যন্ত্র লাগানো হয়। যে অংশের পাঁচিল ভেঙেছে সেখানকার মাটি ও গাছ সরিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিডিও, দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশ বাউরি এবং শাসক ও বিরোধী দলের একাধিক নেতা। বিডিও বলেন, ‘‘মহকুমাশাসক বিষয়টি জানেন। আশ্রম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’ তবে, আশ্রম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনার পরেই কোথাও দুর্বল পাঁচিল থেকে থাকলে তা ভেঙে নতুন করে তৈরি বা তারকাঁটার বেড়া দেওয়ার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy