সিপিএম নেতা কৃষ্ণপদ টুডুর উপরে হামলা। — নিজস্ব চিত্র।
সিপিএম নেতাকে গুলি করার ঘটনায় মাওবাদী বা রাজনীতির যোগ নেই। বান্দোয়ানের ঘটনায় এমনটাই মনে করছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় ধৃতেরা জানিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন আক্রান্ত সিপিএম নেতা কৃষ্ণপদ টুডু। সেই কারণে হামলা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার গুলিকাণ্ডে ধৃত ৩ দুষ্কৃতীকে হাজির করানো হয় আদালতে। বিচারক তাঁদের ৭ দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার কৃষ্ণপদকে গুলি করার ঘটনা নিয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও যোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তে যা মনে হচ্ছে, তাতে এর সঙ্গে রাজনীতিরও কোনও যোগ নেই।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এক দুষ্কৃতী দাবি করেছেন, চাকরি করে দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন সিপিএমের ওই যুব নেতা। সেই টাকা বার বার দাবি করেও তিনি পাচ্ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে তদন্তকারীদের সূত্রে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পথে কৃষ্ণপদকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা তাঁদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অভিযুক্তদের মোটর বাইক উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে সিপিএম। ডিওয়াইএফআইয়ের পুরুলিয়া জেলার সম্পাদক সুনীল মাহাত বলেন। ‘‘মাওবাদী এবং তৃণমূলের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। পুলিশ নিজের কাজ করুক। এই সব কথা বলে আসল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।কৃষ্ণপদ টুডু কোনও মন্ত্রী নন যে উনি চাকরি দেবেন। ৪ বছর আগে উনি কোনও পদেও ছিলেন না। এ সব হাস্যকর কথাবার্তা।’’
পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘কোনও ঘটনা ঘটলে সিপিএম এবং বিজেপির কাজ হল শাসকদলের ঘাড়ে দোষ চাপানো। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। সিপিএমের ওই যুব নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিষয়টি জানা যাবে।’’ হামলায় জখম কৃষ্ণপদ ভর্তি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দলীয় কর্মীকে গুলি করার প্রতিবাদে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ পুরুলিয়ার রাঘবপুর মোড়-সহ কয়েকটি জায়গায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ডিওয়াইএফআই। দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন সিপিএমের যুব সংগঠনের সদস্যেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy