Advertisement
E-Paper

সিবিআই কাণ্ডে মিছিল ব্লকে ব্লকে

সেই নির্দেশ মেনে সোমবার বীরভূমের তিনটি মহকুমা শহরের পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল করেন জেলা তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা। দুপুর ২টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ভাবে এই মিছিল করার নির্দেশ ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৭
অসন্তোষ: কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে সিউড়িতে মিছিলে জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

অসন্তোষ: কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে সিউড়িতে মিছিলে জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার পরেই ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্নামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের হাত থেকে দেশ ও সংবিধানকে ‘বাঁচাতে’ তৃণমূল কর্মীদের রাজ্যের সর্বত্র মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

সেই নির্দেশ মেনে সোমবার বীরভূমের তিনটি মহকুমা শহরের পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল করেন জেলা তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা। দুপুর ২টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ভাবে এই মিছিল করার নির্দেশ ছিল।

সিউড়ি জেলা দলীয় কর্যালয় থেকে মিছিল বের হয় সোমবার বিকাল তিনটের পর। মিছিলে অংশ নেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, দলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার, মলয় মুখোপাধ্যায় ও শহরের ১৯টি ওয়ার্ড থেকে আসা কর্মী ও নেতারা। মিছিলটি চৈতালি মোড় থেকে সিউড়ির মাদ্রাসা রোড হয়ে বাসস্ট্যান্ডে যায়। সেখানে একটি অস্থায়ী মঞ্চে মোদী ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন বিকাশবাবুরা। পরে ফের দলীয় কার্যালয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

একই ভাবে বোলপুরে্ও প্রতিবাদ মিছিল হয়। নেতাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে মিছিল শুরু করেন বোলপুর রেল ময়দান থেকে। তাতে অংশ নেন শহরের ২০টি ওয়ার্ডের বহু কর্মী। নেতৃত্বে ছিলেন পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত, নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, কাউন্সিলর ওমর শেখ। শহরের চৌরাস্তায় এসে কিছুক্ষণ থামে মিছিল। নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করেন তৃণমূল কর্মীরা। মিছিল শেষ হয় রেল ময়দানেই।

দুবরাজপুর শহর কংগ্রেসের উদ্যোগে দেশ ও সংবিধান ‘বাঁচাতে’ মিছিল হয়। তাতে শামিল ছিলেন গোটা ব্লক থেকে আসা নেতা কর্মীরা। ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র, শহর সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডেদের নেতৃত্বে মিছিল গোটা বাজার ঘুরে ব্লক অফিসের কাছে এসে থামে। সেখানে মোদী সরকারে বিরোধী বক্তব্য রাখেন নেতারা। মিছিল হয়েছে সিউড়ি ২, রাজনগর, ইলামবাজার সহ প্রতিটি ব্লকে। সাঁইথিয়ার মাঠপলশা, মহম্মদবাজারেও মিছিল বের হয়।

রবিবার রাতে ধর্নামঞ্চ থেকে মমতা নির্দেশ দিয়েছিলেন— কোথাও রাস্তা অবরোধ করে মানুষকে অসুবিধায় ফেলা যাবে না। যদিও কিছুটা হলেও সে নির্দেশ মানেননি ইলামবাজারের দলীয় কর্মীরা। অভিযোগ, তাঁরা এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আধঘন্টার জন্য পানাগড় দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে ইলামবাজার মোড় পথ অবরোধ করেন। যার জেরে দুবরাজপুর, বোলপুর ও পানাগড়ের দিকে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ কিছুক্ষণ পরেই অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। সোমবার সিউড়ি সদরে তেমন কোনও কর্মসূচি পালিত হয়নি। তবে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কিছুক্ষণ অবরোধ হয়েছিল। যদিও সেই সময় রাস্তায় লোক বা যান চলাচল তেমন ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ান হয় তারাপীঠেও। বের হয় প্রতিবাদ মিছিল। সোমবার বিকেলে। উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ব্লক যুব সভাপতি প্রেমানন্দ মণ্ডল।

Protest CBI TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy