Advertisement
E-Paper

খবর রাখতে সেরা কর্মী বাছবে তৃণমূল

দলীয় সূত্রে খবর, ঠিক হয়েছে, প্রতিটি বুথ থেকে সেরা ও সক্রিয় কর্মীদের বাছাই ও তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দলের কাজে নামানো হবে। তাঁদের সঙ্গে যোগ থাকবে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বেরও।

দয়াল সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৩৭
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দলের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া থেকে সংগঠনের কাজ, এত দিন পর্যন্ত এ কাজে শুধু জেলা, ব্লক, পঞ্চায়েত বা বুথ স্তরের নেতাদের কথায় ভরসা ছিল শাসকদলের। সেই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে ভিন্ন ভাবনা নিল তৃণমূল।

দলীয় সূত্রে খবর, ঠিক হয়েছে, প্রতিটি বুথ থেকে সেরা ও সক্রিয় কর্মীদের বাছাই ও তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দলের কাজে নামানো হবে। তাঁদের সঙ্গে যোগ থাকবে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বেরও।

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের কোর কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকেই নিজের নিজের এলাকার প্রতিটি বুথ থেকে তিন জন করে সক্রিয় কর্মীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাঠাবেন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। সেই তালিকায় তফসিলি জাতি, জনজাতি থেকে আসা কর্মীদের নামও থাকতে হবে।

দলের নেতাদের একাংশ বলছেন, দলের তরফে এমন নির্দেশ এলেও, নেপথ্য রয়েছে ‘ভোট-কুশলী’ প্রশান্ত কিশোরের টিমের ভাবনা। রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ বিধায়কেরা সেই তালিকা জমা দিচ্ছেন, দেবেন। সেখান থেকেই বাছাই করা হবে বুথভিত্তিক সেরা কর্মীদের।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে. বিধায়ক ও সাংসদের দেওয়া তালিকার মধ্যে যে কর্মীর নাম ‘এক’ তা আগে বিবেচিত হবে। অন্য নামগুলির মধ্যে থেকে খোঁজখবর নিয়ে প্রত্যয়ী কর্মীদের বেছে নেওয়া হবে। তার পরেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পালা। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপরেও।

আলাদা করে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ৩ হাজারেরও বেশি নামের তালিকা থেকে এক জন করে মহিলা কর্মীর নাম ও ফোন নম্বর চেয়েছেন। কিন্তু সেই কর্মী বুথভিত্তিক সেরা কর্মীদের দলে থেকে কাজ করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলছেন, ‘‘বাছাই পর্ব ও প্রশিক্ষণ শেষে নির্দিষ্ট বুথে দলের সংগঠন মজবুত করা থেকে নির্বাচনের কাজ, সবেতেই কাজে লাগবেন তাঁরা।’’

রাজ্যের সঙ্গে পুর-এলাকার সংযোগ রাখার ভাবনা আগেই নেওয়া হয়েছে আসন্ন পুরভোটের কথা মাথায় রেখে। গত অগস্টে দলের তরফে নির্দেশ ছিল, জেলার ৬টি পুরসভার মধ্যে একমাত্র নলহাটি বাদে সিউড়ি, সাঁইথিয়া, বোলপুর, রামপুরহাট ও দুবরাজপুর পুর-এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ১০ জন করে ওয়ার্ড নির্বাচন কমিটি গঠনের। প্রতিটি কমিটিতে সাত জন করে পুরুষ ও তিন জন করে মহিলা কর্মী থাকবেন। কাকে কাকে কমিটিতে রাখা হবে, দ্রুত তার তালিকা তৈরি করে পাঠাতে হবে। যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে প্রশান্ত কিশোরের দলের।

ঠিক একই ভাবে বুথ সভাপতি বা অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের উপরে শুধু ভরসা না করে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোন বুথে দলের কী হাল তার উপরে রাজ্য নেতৃ্ত্বের নজর থাকবে।

বিধায়ক, মন্ত্রী, যুবনেতাদের পরে কিছু দিন আগে প্রতিটি ব্লকের সভাপতি ও পুরশহরে শহর সভাপতিদের যুক্ত করা হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে। দলের তরফে জানা গিয়েছে, ওই কর্মসূচিতে শুধু ফোন নম্বর বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সরাসরি অভিযোগ নেওয়াই নয়, কর্পোরেট ধাঁচে জনসংযোগ রাখতে এবং মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে কী ভাবে তার সমাধান সম্ভব সে সবের নানা ধাপ সাজিয়ে দিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের টিম। এ বার দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বুথস্তরের প্রকৃত ছবি পেয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার পরিসর আরও বাড়ল। তা মানছেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কেরা।

tmc Suri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy