শিবপুর মৌজা নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিতে পাল্টা মাঠে নামছে তৃণমূল। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবার ওই প্রকল্প এলাকায় জনসভা করবে রাজ্যের শাসকদল। শনিবার বিকেলে ওই প্রকল্প এলাকা ঘুরে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “ওই জনসভায় দলের নেতা সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম আসছেন। এলাকায় উন্নয়নের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে।” তাঁর সঙ্গে ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীও।
এ দিন অধিগৃহীত জমিতে নির্মিত আইটি হাবের দফতরে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, জমিমালিক, চাষি, বর্গাদারদের একাংশকে নিয়ে একটি বৈঠকও করেন তাঁরা। কর্মসংস্থানের আর্জিতে ওই প্রকল্প এলাকায় হাজির হওয়া স্থানীয়দের অনুব্রত বলেন, “আপনারা নিশ্চিত থাকুন। এখানে স্থানীয়দেরই কাজ দেওয়া হবে।” বোলপুরের শিবপুর মৌজায় শিল্প, কর্মসংস্থান এবং ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। যার জেরে ইতিমধ্যেই পূর্ব নির্ধারিত দরে দেড় দশকের আগের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এ দিন বিকেলে বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংসদ শতাব্দী রায়, মন্ত্রী, জেলার একাধিক বিধায়ককে নিয়ে একটি বৈঠক করেন অনুব্রত। জনসভায় বিরোধীদের দেওয়া ‘শিল্প-বিরোধী’ তকমা মোছা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
অন্য দিকে, শুধু সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজই নয়, শিবপুর মৌজায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘গীতবিতান’ থিমসিটির সার্বিক নির্মাণের কাজকর্ম এ বছরই শুরু হয়ে যাবে বলে দাবি করলেন চন্দ্রনাথ। শনিবার বোলপুরে গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গনে একটি বেসরকারি স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের আলাদা জায়গা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এই এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে নাগরিক পরিষেবা— দিনকে দিন আরও উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। এই প্রজন্মের পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হতে চলেছে।” চন্দ্রনাথের দাবি, দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। বিশ্বভারতীর আদলে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে।