অশোক ঘোষ এবং অশোক মুখোপাধ্যায়— খয়রাশোলে নিহত দুই তৃণমূল নেতার বিবদমান দুই গোষ্ঠী এখন এক ছাতার তলায়। তবু শাসকদলের অন্দরের বিরোধ মেটাতে আসরে নামতে হল খোদ জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেই।
তৃণমূল পরিচালিত খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী অসীমা ধীবরের বিরুদ্ধে যাতে দলের সদস্যেরা অনাস্থা না আনেন, তা নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় সিউড়িতে দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একটি দীর্ঘ বৈঠকে করলেন জেলা সভাপতি। অনুব্রত অবশ্য বৈঠকটিকে সাংগঠনিক বৈঠক বলে এড়িয়ে গেলেও তৃণমূলেরই সূত্রের খবর, সভানেত্রীর মাথার উপর একটি কমিটি গড়ে আপাতত সমস্যা মিটিয়েছেন জেলা সভাপতি।
ঘটনা হল, তৃণমূল পরিচালিত খয়রাশোলের লোকপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বন্দনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দিন কয়েক আগেই যে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে, তাতে আট জনের মধ্যে পাঁচটি সই-ই তৃণমূল সদস্যদের। মোট ১১টি আসন বিশিষ্ট ওই পঞ্চায়েতে আটটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। দু’টি নির্দল (সিপিএম সমর্থিত) ও একটি বিজেপি। সোমবার সই মিলিয়ে দেখার পরে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তলবিসভার দিন ধার্য করেছেন খয়রাশোলের বিডিও তারকনাথ চন্দ্র। দলের সদস্যেরাই প্রধানের বিরুদ্ধে উন্নয়ন থমকে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান বন্দনাদেবী।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতের পরে এ বার পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়তে চলেছে, এমন আঁচ করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই সদস্যদের ডেকে ‘ধমক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২৬টির মধ্যে ২৪টি আসনই তৃণমূলের দখলে। দরপত্র ডাকা থেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ঘিরে এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের বিরাগভজন হয়েছিলেন অসীমা। দল সূত্রেই জানা গিয়েছে, সভানেত্রীকে সরানোই হোক বা প্রধানকে সরানো— গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বদলে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে দলের মধ্যে। সেটাই থামতে চেয়েছেন জেলা সভাপতি। অসীমা বলছেন, ‘‘জেলা সভাপতি বৈঠক ডেকেছিলেন। ওঁর সিদ্ধান্তে খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy