Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রেলমন্ত্রীকে দুই বিধায়কের প্রস্তাব

দীর্ঘদিন ধরেই রেলযাত্রীরা কিছু দাবি তুলে আসছিলেন। এ বার পুরুলিয়ার দুই কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় সেই দাবিগুলি রেলমন্ত্রীকে জানালেন। সোমবার বিকেলে দিল্লিতে রেলমন্ত্রীকে দাবিগুলি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালবাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০০:২১
Share: Save:

দীর্ঘদিন ধরেই রেলযাত্রীরা কিছু দাবি তুলে আসছিলেন। এ বার পুরুলিয়ার দুই কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় সেই দাবিগুলি রেলমন্ত্রীকে জানালেন। সোমবার বিকেলে দিল্লিতে রেলমন্ত্রীকে দাবিগুলি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালবাবু।

দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে: হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস কোটশিলা স্টেশনে থামানো, হাওড়া-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় সকালে হাওড়া থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করা, চক্রধরপুর-বোকারো-হাওড়া ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির যাত্রপথ মুরি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা, এই ট্রেনটির বাতানুকুল কামরার সংখ্যা বাড়ানো, পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম ট্রেনটিকে সপ্তাহে একদিনের বদলে দু’দিন চালানো ইত্যাদি।

নেপালবাবু জানান, রূপসী বাংলা ট্রেনটি আগে হাওড়া থেকে ছাড়ত, এখন সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়ছে। ভোরবেলায় হাওড়ার বদলে লোকজনের সাঁতরাগাছি যাওয়ার সমস্যা থাকে। তাই ওই ট্রেন ধরা দুর্ভোগের বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই পুনরায় এই ট্রেনটিকে হাওড়া থেকেই চালানোর দাবি জানানো হয়েছে। হাওড়া-চক্রধরপুর-বোকারো ট্রেনটি বোকারোতে পৌঁছনোর পর দাঁড়িয়ে থাকে। যতটা সময় ওই স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে, সেই সময়ের মধ্যে ট্রেনটিকে মুরি পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। তাতে যাত্রীদের সুবিধা হবে। রেলেও আয় বাড়বে। এ ছাড়া দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার মানুষের ভরসা ভিল্লুপুরমগামী ট্রেনটি। ওই ট্রেনটিকে তিনদিন চালালে সবার উপকার হতো। তা যদি না হয়, অন্তত সপ্তাহে দু’দিন চালানোর প্রস্তাব রেলমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। সুদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, পুরুলিয়া স্টেশনের কাছে কাটিন এলাকায় একটি আন্ডারপাস করার দাবিও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় রেললাইন টপকে অনেককে কাজে আসা-যাওয়া করতে হয়। নেপালবাবু বলেন, ‘‘রেলমন্ত্রী আমাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

স্মারকলিপি। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে মঙ্গলবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। ছিলেন দলের জেলা নেতা জীবন চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার কাউন্সিলর নিলাদ্রীশেখর দানা প্রমুখ। জীবনবাবু বলেন, “বাঁকুড়া মেডিক্যাল শুধু জেলারই নয়, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যের অন্যতম ভরসাস্থল।

অথচ এই হাসপাতালের পরিকাঠামো বলতে কিছুই নেই। রোগীর তুলনায় শয্যা কম, মেডিক্যাল অফিসার, নার্সি থেকে চতুর্থশ্রেণির কর্মীও যথেষ্ট নয়। এতে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE