প্রতীকী ছবি।
এক জায়গায় বসে চা খাওয়া অনেক দিন আগেই উঠে গিয়েছে। এখন রাস্তায় দেখা হলে মুখ দেখাদেখিও প্রায় বন্ধ। শহিদ দিবসের প্রস্তুতি মিছিলও একে অন্যকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা চালান। দ্বন্দ্বের জেরে বান্দোয়ানে তৃণমূল কর্মীদের এখন এমনই অবস্থা। কিন্তু এখন বেকায়দায় পড়ে দুই গোষ্ঠীরই অনেকে একই গাড়িতে ঠাসাঠাসি করে কলকাতায় শহিদ দিবসের সভায় যোগ দিতে গেলেন। কারণ বাস বাড়ন্ত।
গত কয়েক মাস ধরে বান্দোয়ানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। কিছুতেই জেলা নেতৃত্ব দু’পক্ষকে এক করতে পারছেন না। দু’পক্ষ মাঝে মধ্যেই আস্ফালন করছে। শহিদ দিবসের প্রস্তুতির মিছিলও আলাদা ভাবে করে একে অন্যকে টক্কর দেওয়ার দাবি করেছেন। ঠিক ছিল, শহিদ দিবসের সভায় দুই গোষ্ঠী আলাদা ভাবে কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে যাবে।
কিন্তু বিধি বাম। চাহিদা অনুযায়ী গাড়ি না মেলায় দুই গোষ্ঠীর নেতারা সমস্যায় পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্লক সভাপতি রঘুনাথ মাঝি বলেন, ‘‘দলীয় কর্মীদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা অনেক গাড়ি চেয়েছিলাম। কিন্তু মাত্র তিনটি বাস পেয়েছি। বাকিদের গালুডি, ঘাটশিলা এবং টাটা থেকে ট্রেন যোগে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, পাল্টা গোষ্ঠীর নেতা কলেন্দ্রনাথ মান্ডি, বীরেন্দ্রনাথ মাহাতো, স্বপন দত্তরা বলেন, ‘‘আমরা মাত্র পাঁচটি বাস জোগাড় করতে পেরেছি। এত কর্মীকে কী ভাবে নিয়ে যাব, বুঝতে পারছিনা । অন্তত আরো দুটি বাস পেলে ভাল হতো।’’
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা যেতে উন্মুখ কর্মীরা দ্বন্দ্ব ভুলে যে গাড়িতে জায়গা পেয়েছেন উঠে পড়েছেন। কলেন্দ্রনাথবাবু বলেন ‘‘আমাদের কর্মীদের বাসে জায়গা দিতে হিমশিম খেয়েছি। এমন কিছু লোকও আমাদের বাসে উঠেছেন, যাঁরা এতদিন আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেননি। স্থানীয় নেতাদের বলেছি, তাঁদের যেন বাধা না দেওয়া হয়।’’
দলের ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ ব্লক যুব সভাপতি জগদীশ মাহাতোও দাবি করেন, ‘‘গাড়ি কম। কিন্তু কর্মীদের সভায় নিয়ে যাওয়াই আসল কথা। তাই আমাদের গাড়িতেও এমন কিছু লোক উঠেছেন, তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি। সবাই তো একই দলের কর্মী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy