Advertisement
E-Paper

গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যু! চিকিৎসককে দায়ী করে হাসপাতালের সুপারের দ্বারস্থ বাঁকুড়ার পরিবার, কী অভিযোগ

প্রসূতির স্বামী দয়াময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গত ১৩ জুলাই স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা হয়। ওকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। তার পর থেকে চিকিৎসকদের ক্রমান্বয়ে অস্ত্রোপচারের কথা বলা হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। সেই অস্ত্রোপচার হল। কিন্তু তত ক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ২০:৪০
Unborn Child Death in Bishnupur

হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে প্রসূতির পরিবারের লোকজন। —নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসাধীন প্রসূতির গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যুর ঘটনা চিকিৎসকদের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। সোমবার তারা বিক্ষোভ দেখানোর পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের নারায়ণসুন্দরী গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী রায়কে গত ১৩ জুলাই ভর্তি করানো হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। ভর্তির পরেই প্রসূতির পরিজনেরা দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের কাছে অস্ত্রোপচারের আবেদন জানান। তাদের অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা তাঁদের কথায় কান দেননি। রবিবার রাতে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রসূতির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে গিয়ে গর্ভস্থ সন্তানের হৃদ্‌স্পন্দন না পেয়ে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা জানান গর্ভেই মৃত্যু হয়েছে সন্তানের। ওই খবর জানা পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান লক্ষ্মীর পরিবারের লোকজন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা।

প্রসূতির স্বামী দয়াময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গত ১৩ জুলাই স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা হয়। ওকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। তার পর থেকে চিকিৎসকদের ক্রমান্বয়ে অস্ত্রোপচারের কথা বলা হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। সেই অস্ত্রোপচার হল। কিন্তু তত ক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। জন্মের আগেই আমাদের সন্তানকে চলে যেতে হল। এর দায় পুরোপুরি হাসপাতালের চিকিৎসকদের। যথাসময়ে অস্ত্রোপচার করা হলে এমন ঘটনা ঘটত না। আমরা অভিযুক্ত চিকিৎসকদের শাস্তি চাই।’’ প্রসূতির মা ঝর্না রায় বলেন, ‘‘মেয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন, প্রসবের সময় হয়নি! এর পর বার বার যন্ত্রণার কথা চিকিৎসকদের জানানো হলেও তাঁরা শোনেননি। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চাই।’’

এ নিয়ে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়ালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘চিকিৎসকেরা নিয়মিত পরীক্ষা করে গিয়েছেন। প্রসব সংক্রান্ত জটিলতা থাকলে দ্রুত প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রসূতির তেমন কোনও শারীরিক জটিলতা ছিল না। প্রতিদিনই হাসপাতালে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্টভাবে ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা হবে না, বিষয়টি এমন হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও আমরা প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখব।’’

Bishnupur Hospital Child Death Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy