চলছে মেরামতির কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছিল বিদ্যুতের খুঁটি। এর জেরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এলাকা। দীর্ঘক্ষণ কেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হবে, এই প্রশ্ন তুলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে ঢুকে ভাঙচুর চালালেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ কর্মীদেরও। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বিদ্যুৎ দফতরের রাজনগর সাব স্টেশনে। খবর পেয়ে ওই ঘটনায় হাতেনাতে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয়েছে বেশ কিছু মোটরবাইকও।
পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ রাজনগর এলাকায় ঝড় বৃষ্টি হয়। তার জেরে বিদ্যুতের চারটি খুঁটি ভেঙে পড়ে। বিশেষ করে রজনগরের গাংমুড়ি-জয়পুর অঞ্চল সহ বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তাতে বেজায় চটে যান এলাকার বাসিন্দারা। রাত সাড়ে ১০টা-১১টা নাগাদ মোটরবাইকে চড়ে সদলবলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব স্টেশনে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান তাঁরা। কর্তব্যরত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী আইনুল হোসেন খান ও পূর্ণচন্দ্র বাগদিরা বলেন, ‘‘জনা ২০-২৫ লোক এসে জানালা, দরজার কাচ, চেয়ার, টেবিল ভাঙতে শুরু করে। আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই। আমাদেরও হেনস্থা করা হয়।’’ হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছয়।
বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের সিউড়ি ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মাহপাত্র বলেন, ‘‘ঝড়ে ৩৩ কে বি লাইনের বিদ্যুতের দু’টি খুঁটি এবং ১১ কে বি লাইনের দু’টি খুঁটি ভেঙে পড়ায় শুক্রবার রাতে রাজনগরের জয়পুর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার মেরামতি করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই মেরামতের সুযোগটুকু না দিয়ে হামলা চালানোর কোনও মানে হয় না। পুলিশ হাতেনাতে তিনজনকে ধরেছে।’’ তিনি জানান, লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চন্দন চৌধুরী, স্বাধীন ভাণ্ডারী ও রামেশ্বর রেওয়ানী নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যেকেই লাউবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। আজ রবিবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হবে। অন্যদিকে ধৃতদের বিষয়ে মুখ না খুললেও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রাজনগরের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। হুট করতেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এলাকায়। শুক্রবার রাতের গণ্ডগোল সেইসব জমে থাকা ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy