প্রতীকী ছবি।
‘লকডাউন’-এর জন্য গোয়ালারা বাড়ি-বাড়ি দুধ বিক্রি করতে যেতে পারছেন না। অনেক বাজারেও আসছেন না প্যাকেটের দুধ। এই পরিস্থিতিতে দু’বছর বা তার কমবয়সী শিশুদের যাতে দুধের সমস্যা না হয়, সে জন্য বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় ‘হেল্পলাইন’ খুলে মঙ্গলবার থেকে বাড়ি-বাড়ি দুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। ইতিমধ্যে ‘ফেসবুক’ ও বাড়ি-বাড়ি সে কথা জানিয়ে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।
পুরুলিয়া আরপিএফের উদ্যোগে শহরের তেলকলপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের চাল, ডাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ ও তেল দেওয়া হয়।
পাত্রসায়র ও ইন্দাস এলাকার বহু মানুষ যাত্রাশিল্পের সঙ্গে জড়িত। চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত গ্রাম-বাংলায় গাজন, হরিনাম সঙ্কীর্তনের আসরে যাত্রাপালা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে এখন সব অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। তাই যাত্রাশিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে এ দিন পাত্রসায়রের বিজেপি নেতা বাপি হাজরা কিছু যাত্রাশিল্পীর হাতে সাহায্যের ‘চেক’ তুলে দেন।
মঙ্গলবার আড়শা থানার বেলডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুঃস্থদের চাল-সহ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয় পুলিশ। বাঘমুণ্ডি রেঞ্জের কালীমাটি বিটের গন্ধুডি গ্রামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘমুণ্ডির রেঞ্জ অফিসার মনোজকুমার মল্ল। ‘বাড়িতে থাকুন, খাদ্য সামগ্রী সাধ্যমতো আমরা দেব’— এই বার্তা দিয়ে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ঝগড়াই মোড় এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যেরা দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী দেন।
তিনটি গ্রামের কয়েকটি দুঃস্থ পরিবারকে চাল, ডাল, আলু ও আনাজ দেন কাশীপুরের এক ব্যবসায়ী। আহাত্তোড় গ্রামের বাসিন্দা ভৈরব কৈর্বত্য মঙ্গলবার সকালে আহাত্তোড়-সহ দলদলি ও শ্যামপুরে খাদ্যসামগ্রী দেন। তিনি জানান, দিনমজুরেরা খাবার পাচ্ছে না দেখেই তিনি হাত বাড়ান।
এ দিন আদ্রার পলাশকলার গোস্বামীপাড়ার কয়েকজন যুবক অর্থ সংগ্রহ করে আদ্রার সাউথ সেটেলমেন্ট, পুরনো পুলিশ ফাঁড়ি ও বেনিয়াশোল এলাকায় কয়েকটি পরিবারকে চাল, ডাল, আলু ও সাবান দেন। আদ্রার বেকো গ্রামের একটি সংগঠনও সোমবার দুই গ্রামের ২৫টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়। সঙ্গে ছিলেন আদ্রা থানার পুলিশকর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy