যাচাই: ললাট ধান কেনা হচ্ছে না। পুরুলিয়া ২ ব্লকের হাতোয়াড়া কৃষক বাজারে কেনার আগে ধান পরীক্ষা করছেন কর্মী। ছবি: সুজিত মাহাতো
সরু ললাট ধান কেনা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হল না মঙ্গলবারের বৈঠকে। জেলার চালকল মালিকদের প্রতিনিধি ও খাদ্য দফতরের সঙ্গে এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন পুরুলিয়া জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে ললাট ধান চাষিদের থেকে কেনা হবে কি না তা নিয়ে কোনও স্থির সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবারের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু চালকলের পাশাপাশি জেলার ৪১টি সমবায়ও ধান কেনে। তাদের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে ছিলেন না। সমবায়গুলির সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। মঙ্গলবারের বৈঠকে চালকল মালিকদের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাঁরা কিছুটা ললাট ধান কিনতে পারেন। কিন্তু সেই পরিমাণটা কত, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকারের হয়ে চাষিদের থেকে ধান কেনে চালকলগুলি। সেই ধান থেকে চাল তৈরি করে সরকারের ঘরে তোলা হয়। সম্প্রতি ললাট ধান নিতে চালকলগুলি অস্বীকার করায় সমস্যার সূত্রপাত। বুধবারও বিভিন্ন জায়গায় ললাট ধান বিক্রি করতে গিয়ে চাষিরা সমস্যায় পড়েন। পুরুলিয়া ২ ব্লকের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রাজপতি মাহাতো বলেন, ‘‘বুধবার ললাট ধান না নেওয়ায় ব্লকের চাষিরা বিক্ষোভ দেখান।’’ ধান বিক্রি করতে আসা আসা বাঘড়া গ্রামের ফারুক আনসারি, ধুরহি গ্রামের প্রদীপ মাহাতোরা বলেন, ‘‘আমরা তাহলে ধান বিক্রি করব কোথায়। বিডিও-র দ্বারস্থ হব সবাই মিলে।’’ তাঁদের ক্ষোভ, জেলায় খাদ্যমন্ত্রী বৈঠক করতে এলে তখন ললাট ধান নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। পরে হঠাৎ ওই ধান নিতে অস্বীকার করা হচ্ছে।
জেলার চালকল মালিকদের মুখাপাত্র মনোজ ফোগলা বলেন, ‘‘আমরা আগেই খাদ্য দফতরকে আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি। ধান পিছু যতটা চাল সরকারকে দিতে হয়, সরু চালে সেটা পাওয়া যায় না। আমাদের লোকসান হচ্ছে।’’ তিনি জানান, মোট যত ধান কেনা হবে তার ৩০ শতাংশ ললাট ধান কেনার জন্য বৈঠকে প্রশাসন বলেছে। তাঁরা ২০ শতাংশের বেশি উঠতে চাননি।
জেলার অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ামক নির্মল নাথ বলেন, ‘‘ললাট ধান কেনা নিয়ে এখনও কোন স্থির সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে ফের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে চালকল মালিকদের সঙ্গে সমবায়ের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy