Advertisement
E-Paper

জলাশয়ে শীতকালীন পাখি কত, শুরু গণনা

যুব দিবস যেমন, তেমনই ১২ জানুয়ারি দিনটি পালিত হয় বিশ্ব জলাশয় দিবস হিসাবেও।

দয়াল সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৪৩
একমনে: চলছে পাখি গোনার কাজ। মঙ্গলবার নীল নির্জন জলাধারে। নিজস্ব চিত্র।

একমনে: চলছে পাখি গোনার কাজ। মঙ্গলবার নীল নির্জন জলাধারে। নিজস্ব চিত্র।

যুব দিবস যেমন, তেমনই ১২ জানুয়ারি দিনটি পালিত হয় বিশ্ব জলাশয় দিবস হিসাবেও। ঘোষিত সূচি মেনেই বন দফতরের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে বীরভূমের বিভিন্ন জলাশয়ে শীতকালীন পাখি গণনার কাজ শুরু হল। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার নীল নির্জনে এবং খয়রাশোলের হিংলো জলাধারে এ দিন পাখি সুমারি করতে দেখা গেল কলকাতা থেকে আসা ‘প্রকৃতি সংসদ’ নামক একটি প্রকৃতি প্রেমী সংস্থাকে। ‘স্পটিংস্কোপ’, ‘বাইনোকুলার’ স্ট্যান্ড বা ট্রাইপড, খাতা কলম নিয়ে হাজির ছিলেন সংস্থার চার সদস্য।

শীতের এই সময়টায়, আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, তিব্বত, মানস সরোবর থেকে ভারতে উড়ে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। রাজ্যের বিভিন্ন জলাশায়ের পাশাপাশি বীরভূমেরও বেশ কিছু আস্তানা রয়েছে সেই পাখিদের। থাকে দেশজ নানা জলজ পাখিও। তাদের সঠিক সংখ্যা কত, জানতে জানতেই পাখি সুমারি। জলাশয়ে শীতকালীন পাখি গণনায় এ বার পক্ষী প্রেমী, প্রকৃতি প্রেমী বা পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন, এমন ব্যক্তি বা সংস্থার সাহায্য চেয়েছিল বন দফতর। এই মর্মে মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদ কুমার যাদবের নির্দেশ পৌঁছয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। তার পরেই তৎপরতা শুরু হয়।

বন দফতরের দাবি, যত বেশি সংখ্যক স্থানীয় মানুষকে এ কাজে লাগানো যাবে, তত বেশি পাখি সংরক্ষণের প্রতি সচেতনতা বাড়বে। বাইরে থেকে সংস্থা এলেও স্বাগত। তবে, তাদের সাহায্যে থাকবেন জেলার পাখি প্রেমীরা। বন দফতরের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে জেলা ও জেলার বাইরে একাধিক গ্রুপ ও পাখি প্রেমী। রয়েছে কলকাতার সংস্থাটিও। ‘এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেন্টার’-এর হয়ে ফি বছর বীরভূম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জলাশয়ে পাখির সংখ্যা ও প্রজাতি গোনে প্রকৃতি সংসদ। গ্রুপ লিডার রুদ্রপ্রসাদ দাস বলেন, ‘‘বন দফতরের উদ্যোগে শামিল হয়েছি আমরাও।’’ রুদ্রপ্রসাদের সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দাস রায়, প্রসেনজিৎ দাঁ, সুরজিৎ দাঁ। আজ, বুধবার তাঁরা তিলপাড়া জলাধার ও বোলপুরের বল্লভপুর অভয়ারণ্যে থাকা তিনটি জলাশায়ে পাখি সুমারি করবেন।

পাখি গণনায় রয়েছেন জেলার বাসিন্দারাও। মহম্মদবাজারে পঞ্চায়েত কর্মী পক্ষীপ্রেমী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়ার স্কুলের শিক্ষক অমিত রায় এ সপ্তাহের শেষে কাজ শুরু করবেন। তবে নিশ্চিন্তে পাখি সুমারির পথে বাধাও ছিল। রুদ্রপ্রসাদ বলছেন, ‘‘বল্লভপুরে পাখিদের বিরক্ত করার সুযোগ না-থাকলেও তিলপাড়া ও বক্রেশ্বর অত্যাচার বাড়ছে। এ দিনও প্রচণ্ড শব্দে মাইক ও ডিজে বেজেছে।’’

census birds
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy