বিসরি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তায়। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার উপরে কয়েকশো মহিলা বসে পড়েছেন। তাঁদের মুখ-চোখের কঠিন ভাব। ভাবখানা এমন, ‘দেখি তো কে আমাদের সরায়!’
তাঁদের জটলা দেখেই ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষে থেমে গেল বাস, ট্রাক, অন্যান্য যানবাহন। সবার মুখেই এক কথা— ‘‘ব্যাপারটা কী? এরা কোন পার্টি? কোনও দলের পতাকাও তো নেই।’’ খবর পেয়ে ছুটে এল পুলিশ। বিস্তর বোঝানোর পরে তবেই তাঁরা রাস্তা থেকে উঠলেন।
না কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পথ অবরোধ নয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিজেদের মধ্যে গোলমালের জেরে একপক্ষ বুধবার মানবাজারের বিসরি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তায় বসে পড়েন। তার জেরেই দু’পাশে সারি-সারি গাড়ি আটকে যায়। রাস্তায় অবরোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে, আধঘণ্টা পরে তাঁরা রাস্তা থেকে সরে যান।
বিক্ষোভকারী স্বনির্ভর দলের শালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উমা গঙ্গোপাধায়, গুড়তুপা গ্রামের দিপালী বাউরি বলেন, ‘‘গোষ্ঠী পরিচালনার নামে গোষ্ঠী-পিছু ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। অথচ কেন এই টাকা চাওয়া হচ্ছে, কী কাজে খরচ করা হবে, আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। প্রতিবাদে আমরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে অবস্থানে বসি।’’
পঞ্চায়েত প্রধান তরুলতা সিং বলেন, ‘‘বিসরি পঞ্চায়েত এলাকায় ১৮০টি স্বনির্ভর দল রয়েছে। গোষ্ঠীগুলি ঠিকঠাক পরিচালনার জন্য ওদের মধ্য থেকে সঙ্ঘ এবং উপসঙ্ঘ গড়ে দিয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা তোলার বিষয়টি জানি না। তার সঙ্গে পঞ্চায়েতের সরাসরি যোগ নেই।’’
ওই রকম দায়িত্বে থাকা সঙ্ঘের অন্যতম মুখপাত্র মৃদুলা বাউরি বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েতের অধীনে একটি সমবায় গড়ার চেষ্টা চলছে। এ কারণে প্রত্যেক গোষ্ঠীর নাম নথিভুক্ত করার জন্য এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য রসিদ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সব গোষ্ঠীকে ডাকা হয়েছিল। যাঁরা ওই সভায় আসেননি, তাঁরাই গণ্ডগোল পাকাতে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে অবস্থানে বসেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy