E-Paper

আবাস-ক্ষোভ, পঞ্চায়েতে ঝাঁটা হাতে মহিলারা

এ দিন রীতিমতো ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। তাঁদের মধ্যে বাঘাডাবর গ্রামের চিন্তা মাহালি, বারমেস্যা গ্রামের বিজলা হেমব্রমদের দাবি, তাঁদের কাঁচা বাড়ি আছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২১
শাঁকা পঞ্চায়েতের সামনে বিজেপির কর্মসূচি।

শাঁকা পঞ্চায়েতের সামনে বিজেপির কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র।

আবাস তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়েছিল গ্রামসভা। এ বারে সেই আবাস নিয়ে ক্ষোভে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ। সোমবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের ঘটনা। মূলত বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে আয়োজিত ওই বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার শতাধিক মহিলা।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ১৭১৯ জন উপভোক্তার নাম ছিল আবাসের তালিকায়। শেষমেশ তা ঠেকেছে ৮১৭ জনে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ও বিজেপির অভিযোগ, দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা বা ‘সুপার সার্ভে’ যথাযথ ভাবে হয়নি। যাঁরা দুঃস্থ, কাঁচা ভাঙা বাড়িতে বসবাস করে, তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। পরিবর্তে এমন অনেকের নাম রয়েছে, যাঁরা যথেষ্ট সচ্ছল।

এ দিন রীতিমতো ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। তাঁদের মধ্যে বাঘাডাবর গ্রামের চিন্তা মাহালি, বারমেস্যা গ্রামের বিজলা হেমব্রমদের দাবি, তাঁদের কাঁচা বাড়ি আছে। দিনমজুরি করে সংসার চলে। প্রথমে তালিকায় নাম থাকলেও পরে বাদ গিয়েছে। তাঁরা বলেন, “কেন আমাদের নাম বাদ গিয়েছে, তার উত্তর নিতেই পঞ্চায়েতে এসেছি।”

বিজেপির স্থানীয় নেতা সন্তু তেওয়ারি বলেন, “প্রথম বার সমীক্ষা শেষে আবাস তালিকা প্রকাশের পরে তাতে গোলমাল নজরে এসেছিল। আমাদের তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান গোটা রাত ব্লক অফিস চত্বরে বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এ বারে ফের সমীক্ষার পরে দেখা যাচ্ছে, যোগ্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপির প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে কর্মীদের অনেকে ভাঙা বাড়িতে থাকলেও তাঁদের নাম তৃণমূলের চাপে প্রশাসন বাদ দিয়েছে।

অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান তৃণমূলের সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা তথা সুপার সার্ভে সবটাই ব্লক প্রশাসন করেছে। পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকাই ছিল না।” ব্লকের সমাজকল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আধিকারিক কল্যাণপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তালিকা প্রকাশের পরে যাঁরা নাম নথিভুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের কয়েক জনের নাম তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু গ্রামসভার দিনে গ্রামবাসী তা ব্যাখ্যা করার সুযোগটাই দেননি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Awas Yojana Raghunathpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy