অফিসের একটি ঘরের দরজা খুলতে দেরি করায় সহকর্মীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া ২ ব্লকের ভাঙড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। গুরুতর আহত ওই কর্মী পরীক্ষিত চক্রবর্তীকে প্রথমে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় থাকায় তাঁকে পুরুলিয়া থেকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে স্থানান্তর করা হয়। পঞ্চায়েতের ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বাড়ি স্থানীয় কড়চা গ্রামে।
পুরুলিয়া ২ বিডিও দেবদত্তা রায় বলেন, “পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই ওই হামলা হয়। তবে কেন এমন ঘটল তা পরিষ্কার নয়। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ। পরীক্ষিতবাবু তখন পঞ্চায়েত অফিসে ঝাঁট দিচ্ছিলেন। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিকাশ মাহাতোর অভিযোগ, সেই সময় পঞ্চায়েতের এক কর্মী রিয়াজ আনসারি অফিসে আসেন। শুনেছি তিনি পরীক্ষিতবাবুকে অন্য একটি ঘরের দরজা খুলতে বলেন। পরীক্ষিতবাবু তাঁকে জানান, ঝাঁট দিয়েই দরজা খুলে দেবেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তার মাঝেই রিয়াজ আনসারি নিজের মোটরবাইক থেকে একটি ধারালো বঁটির মতো কিছু নিয়ে এসে পরীক্ষিতবাবুর মাথায় আঘাত করেন। বিকাশবাবু বলেন, “পরীক্ষিত দৌড়ে অফিস থেকে ছুটে পাশের একটি বাড়ির দিকে ছুটে যান। সেখানে গিয়েও তাঁকে আঘাত করা হয় বলে শুনেছি।” অভিযোগ, পরীক্ষিত রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে রিয়াজ সেখান থেকে পালিয়ে যান। এর পরে পরীক্ষিতবাবুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, আহতের মাথায় একাধিক জায়গায় আঘাত রয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। চেষ্টা করেও রিয়াজের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy