Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কটেজ চালু না হওয়ায় ক্ষোভ

নবমতম জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। রঘুনাথপুর শহরের উপকন্ঠে নন্দুয়াড়াতে জয়চণ্ডী পাহাড়কে ঘিরে পুরোদস্তুর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে আট বছর আগে শুরু হয়েছিল জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব। গত বছর থেকে রাজ্য পর্যটন দফতর, যুব কল্যাণ দফতর ও পূর্ত দফতরের অর্থে পাহাড়ে কটেজ, যুব আবাস, মোটেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

জয়চণ্ডী পাহাড় উৎসবে ছৌনৃত্য। —নিজস্ব চিত্র

জয়চণ্ডী পাহাড় উৎসবে ছৌনৃত্য। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫০
Share: Save:

নবমতম জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব শুরু হয়েছে রবিবার থেকে।

রঘুনাথপুর শহরের উপকন্ঠে নন্দুয়াড়াতে জয়চণ্ডী পাহাড়কে ঘিরে পুরোদস্তুর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে আট বছর আগে শুরু হয়েছিল জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব। গত বছর থেকে রাজ্য পর্যটন দফতর, যুব কল্যাণ দফতর ও পূর্ত দফতরের অর্থে পাহাড়ে কটেজ, যুব আবাস, মোটেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ফলে যে লক্ষ্যে এই উৎসব শুরু হয়েছিল তার অনেকটাই মিটেছে বলে দাবি করেছেন উৎসব কমিটির কার্যকরী সম্পাদক সুকুমার মণ্ডল। তবে ঘটনা হল, চলতি বছরের মধ্যে জয়চণ্ডীতে কটেজগুলি শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা প্রশাসন নিলেও এখনও সেগুলি চালু না হওয়ায় কিছুটা হলেও ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়। তবে মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) তথা উৎসব কমিটির সভাপতি সুরেন্দ্রকুমার মীনা বলেন, “জয়চণ্ডী পাহাড়ের কটেজগুলির কাজ শেষ পর্যায়ে। দ্রুত সেগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।” রবিবার এই উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যর স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। মহকুমাশাসক ছাড়াও ছিলেন পুরুলিয়ার তৃণমূল সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, পাড়ার বিধায়ক উমাপদ বাউরি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহকুমাশাসক দাবি করছেন, জয়চণ্ডী পাহাড়ের পাশাপাশি রঘুনাথপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লক এলাকা জুড়ে পর্যটন সার্কিট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আট বছর আগে শুরু হওয়ার পর থেকেই এই পাহাড় পর্যটন উৎসব রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকাতেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মেলা চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিনই সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত মূল মঞ্চে হচ্ছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতি বছরই পাঁচ দিনে আদ্রা, রঘুনাথপুর-সহ মহকুমার ছ’টি ব্লক থেকেই মানুষজন ভিড় জমান উৎসব প্রাঙ্গণে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপস্থিত ছিলেন, এলাকার মানুষজন-সহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পরে উৎসবের উদ্বোধন করতে মন্ত্রী ও বিধায়করা উপস্থিত হওয়ায় কিছুটা সুর কেটেছিল। অন্য বছরগুলিতে উদ্বোধনের পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ বার উদ্বোধনের আগেই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গিয়েছিল। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল স্থানীয় স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীরা। পরে মূল মঞ্চে হয়েছে সঙ্গীতশিল্পী বিনোদ রাঠোরের অনুষ্ঠান।

বস্তুত, জয়চণ্ডী পাহাড়ের পাদদেশে সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত মঞ্চের পাঁচ দিন ধরে চলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বরাবরই এই উৎসবের অন্যতম অঙ্গ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এ বার এলাকার ৭০টি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও ক্লাব অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে। বিকেল চারটে থেকে অনুষ্ঠানগুলি শুরু হবে। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। স্থানীয় শিল্পীরা ছাড়াও অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন কলকাতা ও মুম্বইয়ের সঙ্গীত শিল্পীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE