কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে ফের পুরনো দলেই ফিরেছিলেন।
এ বার পুরভোটের মুখে আরও এক বার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন পুরুলিয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওযার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সৈয়দ সাকিল আহমেদ।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এই কাউন্সিলর জেলা তৃণমূল কাযার্লয়ে এসে দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর কাছে তৃণমূলে যোগদানের কথা জানিয়ে গিয়েছেন। পুরুলিয়া পুর-এলাকায় কংগ্রেসের হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন সৈয়দ সাকিল আহমেদ। তাঁর নিজের কথায়, “সেই ’৯০ সাল থেকে আমি টানা নির্বাচিত হয়ে আসছি।” ২০০৫ সালে পুরুলিয়া পুরসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট এবং বামফ্রন্ট সমান সংখ্যক (১১টি করে) আসন পেলে টসের মাধ্যমে পুরপ্রধান নির্বাচন হয়। প্রথম আড়াই বছর পুরপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বামফ্রন্টের বিনায়ক ভট্টাচার্য। পরের আড়াই বছর পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলান সৈয়দ সাকিল আহমেদ।
২০১০ সালের পুরভোটেও ফের জেতেন তিনি। কিন্তু, এই নিবার্চনে তৃণমূল একক ভাবেই ক্ষমতা দখল করে। বিরোধী আসনে বসতে হয় কংগ্রেসকে। পুরবোর্ড গঠনের বছর খানেক পরে সৈয়দ সাকিল আহমেদ-সহ কংগ্রেসের ছয় কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু পুরবোর্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকা কাউন্সিলরদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এক জন বাদে বাকিরা ফের কংগ্রেসেই ফিরে আসেন। তা হলে আবার কেন তৃণমূলে? সে কি ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্যই? এ কথা মানছেন না সৈয়দ সাকিল আহমেদ। তাঁর বক্তব্য, “সে-বার আমরা তৃণমূলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কংগ্রেসে ফিরে আসি। এ বার তেমন ঘটনা নেই।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলেও তাঁর দাবি।
শান্তিরামবাবু বলেন, “সাকিল আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে পুরুলিয়া শহরের কাউন্সিলর। তিনি আমাদের দলে যোগ দিতে চান বলে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর আবেদন গৃহীত হয়েছে।” সাকিলের দলত্যাগ প্রসঙ্গে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের বিভাস দাস অবশ্য বলেন, “এগুলি সুবিধাবাদী রাজনীতির উদাহরণ। বর্তমান বোর্ডে কংগ্রেসের হয়ে জেতার পরে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। ফের ফিরেও এসেছিলেন। আবার গেলেন। বিগত পুরবোর্ডে তেমন ভাবে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোও বলেছেন, “একে সুবিধাবাদী রাজনীতি ছাড়া আর কী-ই বা বলব! তবে, ওঁর তৃণমূলে যাওয়ায় আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy