পঞ্চায়েত অফিসে কোন্দল অব্যহত তৃণমূলে। সোমবার তৃণমূলের সদস্যরা তালা ঝোলালেন মানবাজার থানার ধানাড়া পঞ্চায়েতে। খবর পেয়ে তালা ভেঙে প্রধান-সহ পঞ্চায়েত কর্মীদের অফিসে ঢোকালেন মানবাজার ১ বিডিও।
পুজোর আগে ধানাড়া পঞ্চায়েতে সিপিএমের এক মহিলা সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের পাঁচ সদস্য দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার দাবি জানিয়েছিলেন। জেলা নেতাদের হস্তক্ষেপে অনাস্থার শুনানির দিনে কোনও সদস্যই পঞ্চায়েত অফিসে হাজির না হওয়ায় অনাস্থা বাতিল হয়ে যায়। সোমবারের ঘটনা প্রমাণ করল তখনকার মত অনাস্থা বাতিল হলেও দলে কোন্দল মুছে যায়নি।
ধানাড়া পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৬টি ও সিপিএম ৫টি আসন পেয়েছিল। তফশিলি মহিলাদের জন্য প্রধান পদ সংরক্ষিত থাকায় তৃণমূলের একমাত্র মহিলা অঞ্জলি মুর্মু প্রধান হন। তৃণমূলেরই সমীর মণ্ডল, বিশ্বজিত্ কোটাল, হরেন্দ্রনাথ সিংহরা প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছিলেন। সে সময় প্রধান দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিতে চাওয়ার অভিযোগ এনে জেলা নেতৃত্বকে জানান।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দেখা গেল, অফিসে তালা ঝোলান রয়েছে। বাইরে মানবাজারের বিডিও, প্রধান অঞ্জলি মুর্মু, এগ্জিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট গৌতম দাস-সহ পাঁচজন পঞ্চায়েত কর্মী বাইরে রয়েছেন। বিডিও তৃণমূলের বিক্ষুদ্ধ পঞ্চায়েত সদস্যদের জানান, এ ভাবে সরকারি অফিসে তালা দেওয়া যায় না। অভিযোগ থাকলে তা আলোচনায় মেটাতে হবে। শেষ অবধি বিডিওর নির্দেশে তালা ভেঙে ফেলা হয়।
পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের সমীর মণ্ডল, শান্তিপদ গোপমণ্ডল অভিযোগ করেন, “গৌতমবাবু আমাদের অপমান করেছেন। তাঁকে এখান থেকে না সরালে, আমরা তালা খুলব না। তিনি একমাত্র প্রধান ছাড়া কারও কথা শোনেন না।” গৌতমবাবু দাবি করেন, “পঞ্চায়েত আইনে অনুযায়ী আমি শুধু প্রধানের নির্দেশই শুনতে বাধ্য। ওঁরা আমাকে দিয়ে অবৈধ কাজ করানোর চেষ্টা করছেন। আমি এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। সমস্ত ঘটনা বিডিও জানেন।” যদিও অবৈধ কাজ করাতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ বিক্ষুদ্ধ সদস্যেরা। বিডিও বলেন, “আমি সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে এটা বোঝা গেল, ওঁরা গৌতমবাবু নয়, প্রধান অঞ্জলিদেবীকে মেনে নিতে পারছেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy