Advertisement
১৯ মে ২০২৪

তালিকা দেখে কুলুপ কোপে পড়া নেতাদের

খসড়া তালিকায় সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছিল পুরুলিয়ার উপ পুরপ্রধানের ওয়ার্ড। এ বার পুরভোটের সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে দেখা গেল পুরুলিয়ার পুরপ্রধানের ওয়ার্ডও ঢুকে গিয়েছে সংরক্ষণের তালিকায়। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রশাসন পুর নির্বাচনে পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর ও ঝালদা এই তিনটি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:০২
Share: Save:

খসড়া তালিকায় সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছিল পুরুলিয়ার উপ পুরপ্রধানের ওয়ার্ড। এ বার পুরভোটের সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে দেখা গেল পুরুলিয়ার পুরপ্রধানের ওয়ার্ডও ঢুকে গিয়েছে সংরক্ষণের তালিকায়।

গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রশাসন পুর নির্বাচনে পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর ও ঝালদা এই তিনটি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল পুরুলিয়ার উপ পুরপ্রধানের ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় দেখা গিয়েছে, এই ওয়ার্ডটি তফশিলি জাতির প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। খসড়া তালিকায় পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায়ের ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষণের তালিকায় ছিল না। এ বার শহরবাসীর অনেকেরই নজর ছিল এই ওয়ার্ডের দিকে। চূড়ান্ত তালিকায় দেখা গিয়েছে, সেই ১২ নম্বর ওয়ার্ডটিও তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে।

ওই দু’টি ওয়ার্ড ছাড়াও বদল হয়েছে আরও চারটি ওয়ার্ডে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। খসড়া তালিকায় এই ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষণের তালিকায় পড়েছিল। চূড়ান্ত তালিকায় অবশ্য এই এই ওয়ার্ডটিকে ফের সাধারণ বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। খসড়া তালিকার সঙ্গে বদল হয়েছে ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডটি তফশিলি জাতি ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ হিসেবে উল্লেখ করা থাকলেও এই দু’টি ওয়ার্ডকে শেষ পর্যন্ত সাধারণ ও মহিলা সংরক্ষিত করা হয়েছে। আর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড খসড়া তালিকায় ছিল তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের শহর কমিটির প্রথম সারির নেতা বৈদ্যনাথ মণ্ডল জয়ী হয়েছেন। সেই ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়েছিল খসড়া তালিকায়। চূড়ান্ত তালিকায় ওই ওয়ার্ড ফের সাধারণ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে অনেক কাউন্সিলরের শুকনো মুখে হাসি ফুটেছে। আবার খসড়া তালিকা দেখে স্বস্তিতে থাকা অনেকের মুখের হাসি হারিয়ে গিয়েছে।

পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার ওয়ার্ডটি সংরক্ষণের তালিকায় পড়েছে বলে শুনেছি। এ নিয়ে কিছু বলার নেই। দল যেখানে বলবে সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।” আর উপ পুরপ্রধান সামিমদাদ খান জানান, চূড়ান্ত তালিকায় কী হতে যাচ্ছে তা আগাম আঁচ করা গিয়েছিল। খসড়া তালিকা নিয়ে সবর্দল বৈঠকে এই তালিকাই অনুমোদিত হয়। তাই এই তালিকা দেখে তাঁরা অবাক হচ্ছেন না। পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের বিভাস দাস জানিয়েছেন চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে তাঁদের আপত্তি নেই।

ঝালদা পুরসভার ক্ষেত্রে নজর ছিল ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে। এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে পুরসভার মিলিজুলি বোর্ডের তৃতীয় পুরপ্রধান হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী সুরেশ অগ্রবাল। পরপর তিনটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বিধি প্রযোজ্য হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিল বিভিন্ন দল। কিন্তু খসড়া তালিকার মতো চূড়ান্ত তালিকাতেও এই ওয়ার্ড সংরক্ষণের কোপে পড়েনি, সাধারণই রয়ে গিয়েছে। তবে রঘুনাথপুরের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

purulia ward delimitation municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE