জাতীয় সড়কের তোলাবাজির ছবি করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন এক চিত্র সাংবাদিক। রবিবার বিকালে রামপুরহাট থানার জয়রামপুর সেতুর ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, তোলাবাজদের মারে প্রীতম দাস নামে ওই যুবক রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁর কাছ থেকে ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয় তোলাবাজরা। অভিযোগ, ঘটনার কথা কানে যেতেই রামপুরহাট বিধায়ক তথা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওই তোলাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে বলেন। এবং আহত চিত্র সাংবাদিককে হাসপাতালে গিয়ে দেখেও আসেন।
পুলিশে অভিযোগও দায়ের করে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের অন্য একজন প্রতিনিধি। এদিকে ঘটনার কথা বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “আমি জানি না কারা এই কান্ডের সঙ্গে যুক্ত তিনি বলেন যারাই যুক্ত থাকুন তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।” তিনি জানান, এইভাবে রাস্তার উপর পুলিশের নাম করে যারা তোলা তুলছে তাঁদের বিরুদ্ধেও পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
আহত প্রীতম দাস বলেন, “এ দিন বিকালে জাতীয় সড়ক ধরে রামপুরহাট থেকে মল্লারপুর যাচ্ছিলাম। রামপুরহাট থানার জয়রামপুর সেতুর কাছে দূর দেখতে পাই কয়েক জন একটি হোটেলের ধারে একটি ট্রাক থামিয়ে তোলা তুলছে। সেই ছবি করার পর বাইকে চেপে রামপুরহাটে ফেরার সময় দেখি দুটি বাইকে চারপাঁচ জন পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এর পর আমাদের বাইকের সামনে একটি বাইক দাঁড় করিয়ে বেধরক চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। এবং ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে আমাকে ওদের সঙ্গে থাকা একটি বাইকে চাপিয়ে হোটেলে নিয়ে যায়।”
প্রীতমবাবু আরও জানান, হোটেলে নিয়ে গিয়ে সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁর সঙ্গী এলাকা ছেড়ে আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশে তিনি খবর দিলে, তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ এলাকা থেকে কয়েকটি টোকেন স্লিপ উদ্ধার করেছে। প্রিতমবাবুর দাবি, তাঁকে তোলাবাজরা একটি ধানক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে, শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। পুলিশ এ দিন সন্ধ্যায় অভিযোগ পেয়ে দু’ই তোলাবাজকে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy