একশো দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের কাছে এই মর্মে একটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় আয়াষ পঞ্চায়েত ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেনয়ম করেই তা করা হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। অভিযোগের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
এ দিন মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী, দলের জেলা সম্পাদক স্বরূপরতন সিংহ এবং রামপুরহাট শহর মণ্ডল কমিটির সভাপতি মনোজ সিংহ। সঙ্গে ছিলেন আয়াষ পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য প্রণব মণ্ডল-সহ এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ১০০ দিন প্রকল্পে পঞ্চায়েত থেকে একই দাগের (২৯৩২ দাগে প্রায় ১৬ শতক) জমিতে পরপর দু’বছর (২০১৩-’১৪ এবং ২০১৪-’১৫ আর্থিক বছরে যথাক্রমে ৪৫,৬০০ টাকা এবং ৪৩, ৬৮০ টাকার কাজ করেছে। এটা পুরোপুরি আইনবিরুদ্ধ। তাঁদের দাবি, ওইটুকু জমিতে কখনই অত টাকার কাজ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে পুরো কাজেই আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে। শুভাশিসবাবুরা জানান, গত ২০ অগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পঞ্চায়েতে ১০০ দিন প্রকল্পে যে সব জমিতে কাজ হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে, বাস্তবে সেখানে কোনও কাজই হয়নি। আবার কাজ না করলেও কয়েক জন জবকার্ডধারীর নামে টাকা তুলে নিয়ে আত্মাসাত্ করা হয়েছে। ওই সব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের কাছে বিজেপি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ নিয়ে জবাব দেননি পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের রেজাউল করিম। শুধু বলেন, “কোন কাজের বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে, সেটা নির্মাণ সহায়ককে জিজ্ঞাসা না করে বলতে পারব না।” জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “এসডিও আমাকে অভিযোগের বিষয়ে জানিয়েছেন। এসডিও-কে অভিযোগের তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy