পুরুলিয়ার পাড়া থানা এলাকায় বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত দামোদর কুম্ভকারের বাড়ি আড়শা থানার মিশিরডি গ্রামে। বুধবার রাতে তাকে ধরে জেলা পুলিশ।
বুধবার ভোরে পাড়া থানার তেতুলেহেটি গ্রামের কাছে ধাওয়া করে দু’জনকে ধরেছিল আদ্রার আরপিএফ। তাদের কাছে থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক। যে দাড়িতে করে তারা যাচ্ছিল, সেটিকেও আটক করা হয়। পরে ধৃত দু’জনকে পাড়া থানার হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। বুধবারই ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, বুধবার রাতে ধৃত দামোদরকেই জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর বিক্রি করতে যাচ্ছিল আরপিএফের হাতে ধরা পড়া সুবল মাহাতো ও জলধর দুয়ারি। এ দিন ওই তিন জনকে রঘুমাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশের দাবি, জেরার মুখে সুবল ও জলধর জানিয়েছে, বাঁকুড়ার শালতোড়ার এক ব্যক্তির কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকায় তারা ওই বিস্ফোরক কিনেছিল। মঙ্গলবার একটি বেসরকারি বাসে চাপিয়ে তারা বিস্ফোরক নিয়ে আসে সাঁওতালডিহির সিঁদুরপুরে, সুবলের বাড়িতে। বুধবার ভোরে সেখান থেকেই দু’জনে জলধরের গাড়িতে বিস্ফোরক নিয়ে পুরুলিয়া মফস্সল থানার গোলকুন্ডায় দামোদরকে বিক্রি করতে যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সুবল ও জলধর এই বিস্ফোরক বিক্রির কারবারে জড়িত বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, আড়শার বাসিন্দা দামোদর বিস্ফোরক কিনে পাথরভাঙার কলের (ক্রাশার) মালিকদের বিক্রি করে বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ছাড়াও কুয়ো খোঁড়ার কাজে এই বিস্ফোরক সে ব্যবহার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার শক্ত মাটিতে কুয়ো খোঁড়ার সময়ে কিছুটা মাটি কাটার পরেই পাথরের স্তর মেলে। এই বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় পাথর ফাটানোর কাজে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাথর কলের ব্যবসায়ীদের বিক্রি করার জন্যই এই বিস্ফোরক কিনেছিল ধৃতেরা। তবে, পুরো বিষয়টি অবৈধ ভাবে হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আরও জানার জন্য ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy