প্রতিবাদ মিছিল সরকারি কর্মীদের। শুক্রবার।—নিজস্ব চিত্র।
ঘটনার পরে পেরিয়েছে দশ দিন। মানবাজার ২-এর যুগ্ম-বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাসকে শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় এক জন অভিযুক্তকেও পুলিশ ধরতে পারেনি। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয় সরকারি কর্মী মহলে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ব্লক অফিসে প্রহ্লাদবাবু মহিলাদের নিয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠনের কাজে পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সমিতির সদস্য কারা হবেন, এই নিয়ে যুগ্ম-বিডিও’র সঙ্গে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধ বাধে। অভিযোগ, বচসার সময় প্রহ্লাদবাবুকে শারীরিক নিগ্রহ ও হেনস্থা করা হয়। বহিরাগত কিছু লোকও তাতে সামিল হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি মানবাজার ২-এর বিডিও পার্থ কর্মকার এক মহিলা সমেত ৯ জনের নামে থানায় এফআইআর করেন। এফআইআরে ব্লক স্তরের এক তৃণমূল নেতা ও একাধিক তৃণমূল কর্মীর নামও ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, কয়েক জন মিলে সরকারি কর্মীকে মারধর প্রভৃতি জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
কিন্তু, এখনও অভিযুক্তদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় সরকারি কর্মীদের একাংশ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। শুক্রবার ব্লক অফিস-সহ বোরো এলাকার সরকারি কর্মচারীদের একটি দল প্রতিবাদ মিছিল করে থানায় গিয়ে যুগ্ম-বিডিওকে মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়। থানার গেটের সামনে ওই সরকারি কর্মীরা কিছুক্ষণ বিক্ষোভ-অবস্থানও করেন। দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। মানবাজার ২ ব্লক যুব আধিকারিক অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আমরা টিফিনের সময়ে আমাদের প্রতিবাদ মিছিল বার করেছি। বৃহস্পতিবার থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে স্মারকলিপির কপি নিতে চায়নি। এ দিন অবশ্য নিয়েছে।” ব্লকের মত্স্য উন্নয়ন আধিকারিক প্রশান্ত মান্নার দাবি, “পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করলেও স্মারকলিপি নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা টালবাহানা করেছে।” প্রতিবাদ মিছিলে সামিল কিছু সরকারি কর্মী বলেন, “ঘটনার পরে এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও অভিযুক্তেরা দিব্যি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ বলছে, অভিযুক্তেরা নাকি এলাকাতেই নেই! এই দাবি মেনে নেওয়া যায় না।”
মানবাজার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গীতা মাহাতো বলেন, “শুনেছি সরকারি কর্মীরা শুক্রবার এই ঘটনার জেরে থানায় স্মারকলিপি দিয়েছেন, এটা ভাল নজির হল না। এতে জট আরও বাড়ল।” সরকারি কর্মীকে হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্তদের কেন ধার হয়নি, সে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। তাঁর মন্তব্য, “নিয়মমাফিক তদন্ত চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy