Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শিশু শ্রমিক কাণ্ডে তদন্তে শ্রম দফতর

রাজস্থানের জয়পুরে শিশু শ্রমিক পাচারের অভিযোগের আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করল শ্রম দফতর। জেলা শ্রম কমিশনার মনোজ সাহা বলেন, “ভিন্‌ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে একজন অসুস্থ শিশু শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে সম্প্রতি ট্রেনে মারা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫২
Share: Save:

রাজস্থানের জয়পুরে শিশু শ্রমিক পাচারের অভিযোগের আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করল শ্রম দফতর। জেলা শ্রম কমিশনার মনোজ সাহা বলেন, “ভিন্‌ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে একজন অসুস্থ শিশু শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে সম্প্রতি ট্রেনে মারা গিয়েছে। দফতরের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই দলে কতজন শিশু শ্রমিক ছিল, কোথায় তাদের কী কাজ করানো হচ্ছিল, পারিশ্রমিক কেমন সব খোঁজ নেওয়া হবে।” তিনি জানান, তদন্তের রিপোর্ট জেলাশাসক ও শ্রম দফতরের রাজ্য অফিসে পাঠানো হবে।

এ দিকে, আজ শুক্রবার ওই শিশু শ্রমিকদের জয়পুর থেকে পুরুলিয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বুধবার জানিয়েছিল পুলিশ। তারপরেই ওই শিশু শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

মানবাজার থানার কাশিডি ও বোরো থানার ওলগাড়া গ্রাম থেকে পাঁচ মাস আগে ১৩ জন শিশু শ্রমিক রাজস্থানের জয়পুরে কাজে যায়। সম্প্রতি ওলগাড়া গ্রামের নিতাই শবর নামে অসুস্থ এক শিশু শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে মারা যায়। তার আগে নিতাইয়ের বাবা জয়পুর থেকে কোনও রকমে মালিকপক্ষকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেই বিশ্বনাথ শবর ঘটনার কথা জানিয়ে বোরো থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মানবাজার ও কেন্দা থানায় বাকি শিশু শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান অভিভাবকেরা। বুধবার জেলা পুলিশ কর্তাদের উদ্যোগে কাশিডি ও ওলগাড়া গ্রামে গিয়ে জয়পুরে থাকা ছেলেদের সাথে অভিভাবকদের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। জেলা শ্রম কমিশনার মনোজ সাহা বলেন, “ওই দলটি ভিন রাজ্যে যাওয়ার আগে আমাদের দফতরে নাম নথিভুক্ত করেনি। নথিভুক্ত করা থাকলে শ্রম আইন অনুযায়ী মৃত এবং অঙ্গহানি হওয়া শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE