Advertisement
E-Paper

স্কুলে বাধা, ছাত্রীরা গেল ডিএম-র কাছে

দেরিতে আসার জন্য ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অথচ তারপরে এসেও স্কুলে ঢুকতে পারেন শিক্ষিকারা। এই অভিযোগ তুলে ছাত্রীদের মতোই শিক্ষিকাদের জন্যও একই সময়-বিধি চালুর দাবিতে সরাসরি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে আর্জি জানাল পড়ুয়ারা। বুধবার স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে জেলাশাসকের কাছে হাজির হয় শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৪ ০০:১৪

দেরিতে আসার জন্য ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অথচ তারপরে এসেও স্কুলে ঢুকতে পারেন শিক্ষিকারা। এই অভিযোগ তুলে ছাত্রীদের মতোই শিক্ষিকাদের জন্যও একই সময়-বিধি চালুর দাবিতে সরাসরি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে আর্জি জানাল পড়ুয়ারা।

বুধবার স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে জেলাশাসকের কাছে হাজির হয় শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ স্কুলের ইউনিফর্মে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে জেলাশাসকের অফিসে যায় প্রায় ২০ জন ছাত্রী। হাতে জেলাশাসককে লেখা একটি অভিযোগপত্র। তাতে কমবেশি ৩০ জন ছাত্রীর স্বাক্ষর। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী তখন নিজের চেম্বারে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। ছিলেন বিধায়করা ও জেলা সভাধিপতিও।

নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের জানান, বৈঠক শেষ হলে তারা কথা বলতে পারবে। অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে স্কুলের ছাত্রীরা অভিযোগ করে, “আমরা এ দিন ১০-৪৫ মিনিটে স্কুলে আসি। পাঁচ মিনিট পরে প্রার্থনা হয়। কিন্তু দেরি হয়েছে জানিয়ে আমাদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু শিক্ষিকাদের অনেকেই তো আরও দেরিতে স্কুলে এসেছেন। তাঁদের জন্যও একই বিধি চালু করা হোক।” বৈঠক শেষে মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বেরিয়ে আসতেই ছাত্রীরা তাঁকে ঘিরে ধরে তাদের বক্তব্য জানায়। তিনি ছাত্রীদের জানান, জেলাশাসককে জানাতে। এরপর বেরিয়ে আসেন শান্তিরামবাবু। ঘটনাচক্রে তিনি ওই স্কুলেরই পরিচালন সমিতির সম্পাদক। তাঁকেও ছাত্রীরা অভিযোগ জানান। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো দুই ছাত্রীকে জেলাশাসকের কাছে নিয়ে যান। জেলাশাসকের ঘর থেকে বেরিয়ে ওই ছাত্রীরা বলে, “উনি আমাদের জানিয়েছেন, আমরা বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। তিনি প্রধানশিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদেরও মনে হচ্ছে কিছুটা বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি।” মহকুমাশাসক (সদর) সৌম্যজিৎ দেবনাথ বলেন, “জেলাশাসক নিজে প্রধানশিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে ছাত্রীদের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন।” শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা নিয়তি মিত্র বলেন, “স্কুলের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সময়-বিধি চালু করেছি। এ দিন ওরা দেরি করে এসেছিল বলেই ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নিয়মিত শিক্ষিকাদের কেউই দেরি করে আসেননি। কোনও চুক্তিবদ্ধ শিক্ষিকা যদি দেরি করে তাতে কি বলব?”

school dm purulia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy