ফ্রেমবন্দি: ছবি তোলার হিড়িক। নিজস্ব চিত্র
শহরের পথে মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের কাছে এই কর্মসূচি নির্বিঘ্নে উতরে দেওয়া এক প্রকারের ‘চ্যালেঞ্জ’ ছিল। সোমবার দুপুরে ঘিঞ্জি, জনবহুল এলাকা দিয়ে মিছিল গিয়েছে। কোনও ঝঞ্ঝাট হয়নি। তবে শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, পুলিশ এ দিন যে ভাবে বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন আটকেছে তাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভোর থেকেই পথে নেমেছিল পুলিশ। তখন থেকেই শহরে ঢোকার পাঁচটি রাস্তায় ব্যারিকেড করে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়ে গিয়েছিল। পদযাত্রা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকে যাত্রাপথ ‘নো এন্ট্রি’ করে দেওয়া হয়। রাস্তার পাশে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ছিলেন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। মূল রাস্তা যেখানে গলিতে এসে মিশেছে, সেখানেও ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
সূত্রের খবর, এ দিন নিরাপত্তার পুরো বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের একাধিক তাবড় পুলিশ কর্তা। ছিলেন ডাইরেক্টর (সিকিওরিটি) বিনীত গোয়েল, আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র, স্পেশাল আইজি (সিকিওরিটি) আভারু রবীন্দ্রনাথ, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) সুকেশ জৈন, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান। এ ছাড়াও ১২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক, ২২ জন ডিএসপি, ৫৫ জন ইন্সপেক্টর, জেলার সমস্ত থানার ওসিরা এ দিন শহরের পথে ছিলেন। মোতায়েন করা হয়েছিল ২ হাজার রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, সাড়ে তিন হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩০টি মোটরবাইকে শহর চষেছেন ৬০ জন পুলিশকর্মী।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী শহরে পদযাত্রা করবেন এই খবর পাওয়ার পরে কী ভাবে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও এলাকার নিরাপত্তা সাজানো হবে তা প্রাথমিক ভাবে নির্ধারণের দায়িত্ব বর্তায় মূলত পুরুলিয়া সদর থানার উপরে। প্রাথমিক ভাবে রুট নির্ধারিত হওয়ার পরে পুলিশ কর্তারা দফায় দফায় রুট খতিয়ে দেখেন। তার পরে ছাড়পত্র মেলে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুরুলিয়া শহরে পদযাত্রার যে রুট ছিল, তার একাধিক জায়গা যথেষ্ঠ ঘিঞ্জি। মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা বলে কথা। একটা উদ্বেগ তো ছিলই। তবে ভালয় ভালয় সব উতরে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy