এসএসসি নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির অনলাইন আবেদনপত্র খোলার পরে কেটে গেছে ১৭ দিন। আবেদন পড়েছে এক লক্ষের কিছু বেশি। এমনই জানা গিয়েছে শিক্ষা দফতর থেকে। প্রায় ন’বছর পরে নতুন শিক্ষক নিয়োগে প্রচুর আবেদন জমা পড়বে বলে অনেকেই ভেবেছিলেন। তা হলে কি এসএসসি-র নিয়োগে ভরসা করতে পারছেন না আবেদনকারীরা?
শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৬ সালে শেষ বার যে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছিল, সেখানে ২৬ লক্ষ আবেদন করেছিলেন। ২২ লক্ষ পরীক্ষায় বসেছিলেন। এই ২২ লক্ষের মধ্যে অবশ্য তিন লক্ষ শিক্ষক পদের জন্য আবেদনকারী ছিলেন। বাকি আবেদন ছিল গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের জন্য। সেখানে ১৬ দিনে মাত্র এক লক্ষের মতো আবেদন জমা পড়া তাঁদের অবাক করেছে। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছেন নতুন পরীক্ষার্থীরা। প্রতি বছর হাজার হাজার পড়ুয়া বিএড পাশ করে বসে রয়েছেন। এঁরা প্রায় সবাই আবেদন করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কয়েক জন নতুন আবেদনকারী বলেন, “গত ন’বছর এসএসসি হয়নি। তার মানে নতুন আর পুরনো আবেদনকারী মিলে সাত থেকে সাড়ে সাত লক্ষ আবেদন জমা পড়া উচিত।”
চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের নেতা মেহেবুব মণ্ডল বলেন, “আমরা ১৫ হাজারের মতো যোগ্য শিক্ষক নতুন এসএসসি দেব না। ২০১৬-র কিছু সংখ্যক আবেদনকারী হয়তো বয়স পেরিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারছেন না। কিন্তু বাকিরা? আসলে এসএসসি পরীক্ষায় অনেকেই ভরসা করতে পারছেন না।” এসএসসির আবেদন নেওয়ার শেষ তারিখ ১৪ জুলাই রাত ১২টা। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলছেন, “গত পাঁচ দিন আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। যেমন আবেদন জমা পড়বে বলে আশা করেছিলাম, বাকি ১১ দিনে সেরকমই পড়বে মনে হচ্ছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)