সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। ফাইল চিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদে নিয়ে আসা হল সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে। সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পরে প্রথমে তিনি আলাদা মঞ্চ গড়েছিলেন। পরে সেই মঞ্চের প্রায় সকলেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। গেরুয়া শিবির ঘুরে তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ এখন কংগ্রেসে। নন্দীগ্রাম-পর্বে প্রবল বিতর্কে জড়ানো লক্ষ্মণবাবুকে দলে নেওয়া ঘিরে কংগ্রেসের মধ্যে গোড়া থেকেই বিতর্ক ছিল। তাঁর সহ-সভাপতি পদপ্রাপ্তি নিয়েও দলে প্রশ্ন উঠেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর এই নির্দেশের কথা লক্ষ্মণবাবুকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম। প্রথমত, সাংগঠনিক নির্বাচন ও সদস্যপদ প্রক্রিয়ার সময়ে প্রদেশ সভাপতি-সহ প্রদেশ কংগ্রেসের পদাধিকারী বেছে নেওয়ার ভার আনুষ্ঠানিক ভাবে এআইসিসি-কে অর্পণ করা হয়েছে। পুরনো প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (পিসিসি) হাতে কাজ চালানোর ভার আছে, এই যুক্তিতে দেখলেও সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) মনোজ চক্রবর্তী। আর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিলয় প্রামাণিক। তা হলে মুস্তাক কী ভাবে সাংগঠনিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানালেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই। কংগ্রেস সূত্রের খবর, লক্ষ্মণবাবুকে পদে নিয়োগের চিঠি দিতে পারবেন না বলে দলের অভ্যন্তরে আপত্তি জানিয়েছিলেন মনোজবাবু। সেই কারণেই তাঁর নামে সাংগঠনিক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। প্রশ্ন করা হলে মঙ্গলবার রাতে মনোজবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘মুস্তাককে দল দায়িত্ব দিয়েছিল। উনি সেইমতোই কাজ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy