উপস্থিত: কোচবিহারে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাস উদ্বোধনে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী, তার পরেও ‘বিজেপি প্রভাবিত’ এলাকায় সেতু উদ্বোধন না করেই কোচবিহারে ফিরলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারে পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধনে সকাল সকাল বাড়ি থেকে বের হন মন্ত্রী। তার মধ্যে চারটি প্রকল্পই ছিল দিনহাটায়। বিজেপি প্রভাবিত নাজিরহাট ২ পঞ্চায়েতের ছোট গারোলঝোড়াতে একটি সেতু উদ্বোধনের কথা ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত ওই এলাকায় আর যাননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, “সময়ের অভাবে যেতে পারলাম না। পরে একদিন সেখানে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান হবে।” তাঁর সঙ্গী, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ মন্ত্রীর সুরেই জানিয়ে দেন, সময়ের অভাবেই তাঁরা যেতে পারেননি।
দলীয় সূত্রের খবর, একসময় নাজিরহাটে তৃণমূলেরই শক্তি ছিল। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে অবশ্য পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই সময় থেকে ওই এলাকায় এখন পর্য়ন্ত তৃণমূলের কোনও নেতা-বিধায়ক যাননি। এ দিন মন্ত্রী যাওয়ার খবরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সেখানে জড়ো হন। বিজেপি অবশ্য বরাবরের মতো দাবি করেছে, তাঁদের দলের কেউ সেখানে ছিলেন না। সাধারণ মানুষ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর ক্ষুব্ধ। সে কারণেই তাঁরা যেতে সাহস পান না। তৃণমূল অবশ্য বিক্ষোভের আশঙ্কায় তাঁরা সেখানে যাননি সে কথা মানতে নারাজ। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন ছোট গারোলঝোড়ায় একটি সেতু উদ্বোধনের কথা ছিল। মন্ত্রী অবশ্য সেখানে না গেলেও বাকি চারটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ দিন সকালে কোচবিহার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একটি ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন তিনি। এ ছাড়াও দিনহাটা পুরসভার নতুন ভবন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ স্মৃতি সদন অডিটোরিয়াম হল উদ্বোধন করেন তিনি। দিনহাটা দুই ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের সেঁউতি পার্ট টু গ্রামে নীলকমল নদীর উপর ও নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবরাছড়া এলাকায় দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধন করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy