জাগুয়ার-কাণ্ডে ধৃত রাঘিব পারভেজ।
তাঁর জন্য নির্দোষ ছোট ভাইকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে থাকতে হওয়ায় তিনি ‘অনুতপ্ত’। তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন জাগুয়ার-কাণ্ডে ধৃত রাঘিব পারভেজ।
পুলিশ জানায়, ১৬ অগস্ট রাত ১টা ৫০ মিনিটে শেক্সপিয়র সরণি ও লাউডন স্ট্রিটের মোড়ে একটি জাগুয়ার গাড়ি তীব্র গতিতে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ বেন্জ় গাড়িকে। মার্সিডিজ গাড়িটি ধাক্কা খেয়ে ছিটকে রাস্তার মোড়ের পুলিশের একটি কিয়স্কে উঠে যায়। অঝোর বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই নাগরিক। মার্সিডিজ গাড়ির ধাক্কায় দু’জনই মারা যান।
পুলিশ শনিবার জানায়, রাঘিব জেরায় আরও জানান, ভাই আরসালান যে দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি হেফাজতে চলে যান, এই কথা দুবাইয়ে পৌঁছে জানতে পারেন তিনি।
তদন্তকারীরা রাঘিবকে প্রশ্ন করেছিলেন, সে ক্ষেত্রে ১৯ অগস্ট দুবাই থেকে ফিরেই তিনি পুলিশের কাছে হাজির হয়ে বিস্তারিত জানালেন না কেন? রাঘিব জবাব দেন, দুর্ঘটনার জেরে তিনি শরীরে একাধিক জায়গায় চোট পান। সেই চোট সারাতে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে তাঁর মামা মহম্মদ হামজা তাঁকে সাহায্য করেছিলেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন রাঘিব।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে রাঘিবকে নিয়ে দুর্ঘটনার পুনর্গঠন করান তদন্তকারীরা। রাঘিবের সল্টলেকের ব্যবসায়ী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনার পুনর্গঠন করানো হয়েছিল। এজেসি বোস রোডে বন্ধুর বাড়ির জন্মদিনের পার্টি থেকে বেরিয়ে কোন কোন রাস্তা ঘুরে তিনি ও তাঁর বন্ধু শেক্সপিয়র সরণি ও লাউডন স্ট্রিটের মোড়ে আসেন, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেন তিনি।
এ দিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি থেকে একটি চশমা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ওই চশমাটি রাঘিবের সল্টলেকের বন্ধুর। মোবাইল ফোনটি রাঘিবের। তাঁর তিনটি মোবাইল ফোন। একটি ফোন দুর্ঘটনার পরে তাঁর কাছে ছিল, একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। অন্যটি কোথায় রয়েছে তার খোঁজ চলছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy