কলকাতার ট্রামের মতোই ইংল্যান্ডে স্টকটন থেকে ডার্লিংটনের মধ্যে প্রথম ঘোড়ায় টানা বাণিজ্যিক ট্রেন ছুটেছিল। ১৮২৫ সালের সেই প্রথম ট্রেন ছোটার ২০০ বছর পূর্তি হচ্ছে চলতি বছরে। আবার, তৎকালীন বম্বের ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস (অধুনা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস) থেকে কুরলা হারবার পর্যন্ত প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন ছুটেছিল ১৯২৫ সালে। অর্থাৎ, এ দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন ছোটার শতবর্ষও চলতি বছরেই। ঔপনিবেশিক ভারতে রেলের আগমন শিল্পে এবং প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও নতুন জানলা খুলে দিয়েছিল। ভারতের গ্রামনির্ভর সমাজ রেলের হাত ধরেই কার্যত যন্ত্রসভ্যতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। তার পর থেকে শিল্পে, সাহিত্যে, চলচ্চিত্রে, জনজীবনে, রেলের প্রভাব নানা ভাবে ডালপালা মেলেছে। এই কথাই রবিবার উঠে এল রেল এনথুসিয়াস্ট সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত রেল উৎসবে। এ দিন ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল রেলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ডাকটিকিট-সিনেমা-সাহিত্যে রেলের প্রভাব নিয়ে নানা কর্মসূচি এবং প্রদর্শনী।
সংগঠনের সভাপতি ভি এন মাথুরের স্বাগত ভাষণের পরে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলের ঐতিহ্যের কথা তুলে আনেন রায়বরেলির মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরির জেনারেল ম্যানেজার পি কে মিশ্র। দেশবিদেশে ডাক টিকিটে রেল ইঞ্জিনের প্রভাব এবং ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সাহিত্যে রেল কী ভাবে গল্প বলার প্রেক্ষাপট হয়ে উঠেছে, তা নিয়েও হয় আলোচনা। ভারতীয় ছবিতে রেলের প্রভাব নিয়ে একটি বিশেষ তথ্যচিত্র দেখানো হয় অনুষ্ঠানে। সঞ্জয় সুশীল পরিচালিত তথ্যচিত্রটি ছাড়াও ছিল সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে রেলের প্রভাব নিয়ে আলোচনা। এ ছাড়াও এ দিন রেলের ইঞ্জিনের মডেল, রেল সম্পর্কিত নানা বই প্রদর্শিত হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)