সাগরে আবার তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ অঞ্চল, দক্ষিণে ঝড়বৃষ্টি কমলেও উত্তরে দুর্যোগ চলবে

বর্ষার বৃষ্টি আপাতত থামছে না রাজ্যে। কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে অস্বস্তি বৃদ্ধি হতে পারে ভ্যাপসা গরমের কারণে। উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ চলবে। কয়েক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পটনার পর বাঁকুড়া এবং দিঘা হয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। তার প্রভাবেই রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধবার, ১৩ অগস্ট উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ অঞ্চল।

শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় রবিবার এবং সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। জেলাগুলির কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু’-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আগামী শুক্রবার, ১৫ অগস্ট পর্যন্ত। তবে সতর্কতা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

রাজ্যের একেবারে উত্তরের পাঁচ জেলা— দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার পাঁচ জেলাতেই ভারী (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহারে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি চলবে। কয়েক জেলায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চলবে ভারী বৃষ্টিও।