Advertisement
E-Paper

সমাবর্তনে সোনার বাংলা নিয়ে সরব নিশঙ্ক

এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু তাঁর ভাষণে পড়ুয়াদের উদ্দেশে ক্ষুধা, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত ভারত গড়ার আহ্বান জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:৪৮
মঙ্গলবার এনআইটি দুর্গাপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সোনার বাংলা গড়ার কথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কও।

মঙ্গলবার এনআইটি দুর্গাপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সোনার বাংলা গড়ার কথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কও।

বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপি নেতাদের অনেকেই নাগাড়ে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কথা বলে চলেছেন। মঙ্গলবার এনআইটি দুর্গাপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সোনার বাংলা গড়ার কথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কও। সেই সঙ্গে সোনার ভারত গড়ে তোলার কথা বলে জুড়ে দিলেন দু’টিকেই।

এ দিনের ভার্চুয়াল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির অনলাইন ভাষণে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘এটাই ঠিক সময় সোনার বাংলা, সোনার ভারত গড়ার। পড়ুয়াদের এই কাজে এগোতে হবে।’’ নিজেদের প্রতিভা ও কুশলতা দিয়ে চাকরি পাওয়া নয়, চাকরি দেওয়ার জায়গায় পড়ুয়াদের পৌঁছতে বললেন তিনি। জোর দেন ‘স্টার্ট আপ’ তৈরিতে। সেই সূত্রে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করে পোখরিয়াল বলেন, ‘‘বাংলার এই কৃতীদের সম্মান করে পুরো দুনিয়া। ভারতবাসী এঁদের নিয়ে গর্ব করে।’’ জাতীয় শিক্ষানীতি যে কতটা যুগোপযোগী, তারও ব্যাখ্যা দেন পোখরিয়াল। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্য এই জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করেছে।

এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু তাঁর ভাষণে পড়ুয়াদের উদ্দেশে ক্ষুধা, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত ভারত গড়ার আহ্বান জানান। মঙ্গলবার ছিল বিপ্লবী সূর্য সেনের শহিদ হওয়ার দিন। তাঁর আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন অধিকর্তা। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শের কথা মনে করিয়ে তিনি জানান, বিবেকানন্দ সব সময় মানবতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীরাও যেন বিশ্বনাগরিক হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এগোন। নিজেদের কাজ দিয়ে পৃথিবীতে ছাপ রেখে যান। করোনা-কালে পড়ুয়ারা যেন নিজেদের জ্ঞান, কুশলতা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান।

সমাবর্তনে প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন ছাত্র ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স বেঙ্গালুরুর অধ্যাপক বিক্রমজিৎ বসু, আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক সুবীরকুমার সাহা এবং শিল্পোদ্যোগী জ্যোতিপ্রসাদ ভট্টাচার্যকে ‘বিশিষ্ট প্রাক্তনী’ সম্মান দেওয়া হয়। ৬৬৩ জন স্নাতক ডিগ্রি পান। ৩১১জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এবং ১২৮ জন ডক্টরাল ডিগ্রি পান।

Ramesh Pokhriyal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy