প্রতীকী চিত্র।
চার বছর আগে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে চৈতন্য বর্মণ নামে এক যুবককে সাত বছরের কারাবাস এবং ৫০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন চৈতন্য। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, সত্ত্বর চৈতন্যকে জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে যে গাফিলতি ছিল সেই কারণেও নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাতে পারেন তিনি।
আইনজীবীদের একাংশের দাবি, বিনা দোষে এক জন নাগরিক জেল খাটলেন ও অপরাধীর তকমা পেলেন। কেন শুরুতেই ন্যায্য বিচার পেলেন না? চৈতন্যের আইনজীবী নীলাদ্রিশেখর ঘোষ মঙ্গলবার জানান, উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা চৈতন্য গৃহ-শিক্ষকতা করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর এক নাবালিকা ছাত্রী অভিযোগ করেন, চৈতন্য বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করেছেন এবং তার ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। সেই মামলাতেই রায়গঞ্জ আদালতে চৈতন্যের সাজা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন চৈতন্য। আদালতে তাঁর আইনজীবী জানান, অভিযোগকারিণীর বয়সের প্রমাণপত্র গোলমেলে। অভিযুক্ত গর্ভস্থ সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করাতে চাইলেও অভিযোগকারিনী চায়নি। সাক্ষীদের থেকে এও জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণীর এক জন প্রেমিক ছিল এবং পরবর্তী সময়ে তাদের বিয়ে হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেন, নিম্ন আদালত যে দোষে চৈতন্যকে সাজা দিয়েছিল তাতে অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি ওই যুবককে নির্দোষ ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy