সকলে বলছেন, একেবারে ‘বাপ কা বেটি’।
একত্রিশ বছর আগে মহম্মদ রুহুল ইসলাম মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নবম হয়েছিলেন। এ বারে সেই বোর্ডের একই পরীক্ষায় সব থেকে বেশি নম্বর পেল তাঁর মেয়ে সাদিয়া সিদ্দিকা। ৮০০-এর মধ্যে ৭৯৭। সেই একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মালদহের সুজাপুর নয়মৌজা সুবহানিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সে। অন্য সময়ে বিরাট কোহালি থেকে ছোটা ভীম নিয়ে মজে থাকা কিশোরী মেয়েটি, খুনসুটি করে তার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া ভাইয়ের সঙ্গে। কিন্তু পড়ার সময়ে তার মতো মনোযোগী খুব কমই আছে, বলছেন তারই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাই বরাবরই ভাল ফল করেছে সাদিয়া।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আদিল হোসেন বলেন, ‘‘সাদিয়া বরাবরই ক্লাসে প্রথম হত। আমার বিশ্বাস, পরীক্ষা হলে রাজ্যের মেধা তালিকায় এমনই জায়গায় সাদিয়া থাকত।’’ বাবা সুজাপুরের বালুপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অভাব অনটনে তিনি স্নাতক হওয়ার পরে পড়াশোনা ছেড়ে কাজের খোঁজে নেমেছিলেন। এত দিন বাবার কাছেই সব বিষয় পড়ত সাদিয়া, গৃহশিক্ষক ছিলেন শুধু ইংরেজিতে। মাদ্রাসার সামনে বিরাট চত্বরে দাঁড়িয়ে এ দিন বাবার মুখে হাসি ধরে না। সমানে ফোন আসছে মোবাইলে। তার মধ্যেই এক ফাঁকে জানিয়ে গেলেন, মেয়ে যত দূর পড়তে চায়, তিনি পড়াবেন।