E-Paper

রেশন দুর্নীতি: নজরে এক মহিলার ভূমিকা, হাওয়ালায় কি পাচার রেশনের ১০০ কোটি

ইডি সূত্রের দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচারের ক্ষেত্রে এক মহিলার ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বাঙালি এই মহিলা আপাতত কর্মসূত্রে বিদেশে।

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:২৫
Jyotipriya Mallick

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।

বেশ কিছু দিন আগে ইডি সূত্রে অভিযোগ আনা হয়েছিল, হাওয়ালা মারফত বিদেশে টাকা পাচারের জন্য দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে কলকাতাকে। আর কয়লা-গরু পাচার এবং শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মতো রেশন দুর্নীতির টাকার বড় অংশও হাওয়ালা মারফত বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের অভিযোগ। এবং ইডি সূত্রের দাবি, এই দুর্নীতির প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি টাকা হাওয়ালা মারফত বিদেশে পাচার হয়েছে বলে কিছু নথি প্রাথমিক তদন্তে তাদের হাতে এসেছে।

ইডি সূত্রের দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচারের ক্ষেত্রে এক মহিলার ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বাঙালি এই মহিলা আপাতত কর্মসূত্রে বিদেশে। রেশন দুর্নীতির টাকা ওই মহিলা মারফত বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। তাদের দাবি, রেশন দুর্নীতিতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত, বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাঁর মোবাইলের নানা বার্তালাপের সূত্রে এমন তথ্য উঠে এসেছে। যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে ইডি। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, বিদেশে টাকা পাচারের ঘটনায় বাকিবুর ও জ্যোতিপ্রিয়ের ঘনিষ্ঠ এক হিসেবরক্ষকের ভূমিকা খতিয়ে
দেখা হচ্ছে।

এ দেশ এবং এ রাজ্য থেকে কালো টাকা বিদেশে পাচারের জন্য বিদেশিনিদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়ার (যেখানে ওই বিদেশিনি কমিশন পান) ছক কাজে লাগানো হয় বলে ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল। তবে ইডি সূত্রের দাবি, এ বার যে মহিলার নাম উঠে এসেছে, তিনি একটি জেলার প্রাক্তন এক পুরকর্তার আত্মীয়। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন। তিনি যে মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’, সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য ইতিমধ্যে তাঁদের হাতে এসেছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের সূত্রে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই মহিলার নাম ও ঠিকানার ভিত্তিতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং আয়কর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই মহিলার বিষয়ে সবিস্তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ইডি সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালের পর থেকে বাকিবুর ঘন ঘন দুবাই যাতায়াত করেছেন। বাকিবুর ও মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ ওই হিসাবরক্ষকের মধ্য কলকাতার অফিসে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। ইডি সূত্রের খবর, ওই হিসাবরক্ষকও বর্তমানে কলকাতার বাইরে। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে।

ইডির এক কর্তার অভিযোগ, দুর্নীতির কালো টাকা হাওয়ালা মারফত দুবাইয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হত। এরপর দুবাই গিয়ে নামে ও বেনামে ভুয়ো সংস্থা খুলে সেখানে ওই টাকা জমা করতেন বাকিবুর। পরে সেই টাকা ওই মহিলার মাধ্যমে সে দেশের (যে দেশে মহিলা থাকেন) একাধিক সংস্থায় বিনিয়োগ করা হত বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া টাকা পাচারের এই সব সূত্রই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jyotipriya Mallick ED TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy