আরাবুল ইসলাম অপসারিত। ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির নতুন সভাপতি রেজ্জাক মোল্লা।
শিক্ষিকাকে জগ ছুড়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত, ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলাম অপসারিত। ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির নতুন সভাপতি হলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। শুক্রবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে তিনি সর্বসম্মত ভাবে নতুন সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ দিন দুপুরে ওই ঘোষণার পর কলেজের এনসিসি ক্যাডেটরা রেজ্জাককে কলেজ প্রাঙ্গণে ‘গার্ড অব অনার’দেন।
এর ফলে বিতর্কিত নেতা আরাবুলকে ভাঙড় তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গুরুত্বহীন করে দেওয়ার বৃত্তটা সম্পূর্ণ হল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। তৃণমূলে আরাবুল এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আরাবুল বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু’।
২০১১-য় রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর কিছু দিনের মধ্যে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হন। কিন্তু ২০১২-র এপ্রিলে তাঁর বিরুদ্ধে কলেজের এক শিক্ষিকা, দেবযানী দে-কে মুখে জগ ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষাজগৎ ও রাজনৈতিক শিবিরে আলোড়ন তৈরি হয়। তার পরেও আরাবুলকে ওই পদ থেকে সরানো হয়নি।
এ বার বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূলে আরাবুলের গুরুত্ব কমতে থাকে। ২০০৬-এ আরাবুল ভাঙড় থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন। ২০১১-য় অবশ্য তিনি হেরে যান। আর সিপিএম থেকে তৃণমূলে রেজ্জাক যোগ দেওয়ার পর, এ বারের বিধানসভা ভোটে আরাবুলকে টিকিট না দিয়ে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় রেজ্জাককে। শাসক দলের একাধিক সূত্রের খবর, ভোটে রেজ্জাকের হয়ে তেমন গা ঘামাননি আরাবুল। তবুও রেজ্জাক জিতে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy