তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায়। ফাইল চিত্র।
ভোটের মুখে পশ্চিমবঙ্গ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে খাটো করে দেখানোর জন্যই সম্প্রতি প্রকাশিত আর্থিক সমীক্ষায় অনেক পৃষ্ঠা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর বক্তব্য, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যোগ না দেওয়াকে সামনে এনে পশ্চিমবঙ্গের অপমান করা হয়েছে এই কেন্দ্রীয় সরকারি নথিতে।
আর্থিক সমীক্ষায় মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম দেখিয়েছেন, যে সব রাজ্য আয়ুষ্মান ভারতে যোগ দিয়েছে, সেখানে কোনও না কোনও স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকা পরিবারের হার ২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৬ শতাংশ হয়েছে। যে সব রাজ্য আয়ুষ্মান ভারতে যোগ দেয়নি, সেখানে এই হার ১০ শতাংশ কমেছে এ কথা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিহার, অসম, সিকিমের মতো প্রতিবেশী রাজ্যের তুলনা করেছেন তিনি। বলা হয়েছে, এই চারটি রাজ্যের আর্থ-সামাজিক চেহারা একই রকম বলে এই তুলনা। তাঁর বক্তব্য, আয়ুষ্মান ভারতে যোগ দেওয়া রাজ্যগুলিতে নবজাতক-শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ক্ষেত্রেও উন্নতি দেখা গিয়েছে।
সুখেন্দুবাবুর প্রশ্ন, “পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি মানুষ। সিকিমের সঙ্গে কী ভাবে তা তুলনীয়? আর শুধু জনসংখ্যা নয়, শিক্ষিত এবং উচ্চশিক্ষিতের হার, প্রান্তিক কৃষক, আরও বিভিন্ন সূচক নিয়ে তবেই হিসেব করা চলে। ভারতের আরও অনেক রাজ্য রয়েছে, যারা ওই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রকল্প গ্রহণ করেনি। সেখানে বেছে বেছে পশ্চিমবঙ্গকেই তুলে আনা হল কেন তা সহজেই অনুমেয়। এর পিছনে রয়েছে ভোটের রাজনীতি।’’
ওই রিপোর্টে গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা অবলম্বনের ক্ষেত্রে বিহার, সিকিম এবং অসমের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এর ব্যবহার ওই তিনটি রাজ্যের তুলনায় নগণ্য। তৃণমূল নেতার মতে, “ওই তিনটি রাজ্যে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে শুধু নগণ্য বলে চেপে যাওয়া হল কেন। এটা ঘটনা যে পশ্চিমবঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া বহু দিন আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy