ফের বিতর্কে মৎস্য দফতর। দিন কয়েক আগেই মৎস্য মেলার খরচ তুলতে বিজ্ঞাপন জোগাড়ের নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল মৎস্য দফতর। বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে সেই নির্দেশ বাতিল করেন খোদ মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তার জের কাটতে না কাটতেই এ বার অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য নিগমে ১৯ জন অস্থায়ী কর্মীর স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্তে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দফতরের কর্তাদেরই একাংশের দাবি, অর্থ দফতরকে এড়িয়ে নিগমের বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত বেআইনি তো বটেই, অনৈতিকও।
৮ ডিসেম্বর নিগমের বৈঠকে ১৯ জন কর্মীকে স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে হলে ওয়েবসাইট ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কিছুই হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পিছনে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, ‘‘নিয়ম বিসর্জন দিয়ে কর্মী নিয়োগ স্বজনপোষণের নামান্তর।’’
দফতর সূত্রের খবর, বোর্ডের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী। পদাধিকারবলে তিনি মৎস্য নিগমের বোর্ডের চেয়ারম্যানও। অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়া কী ভাবে এমন সিদ্ধান্ত হল? প্রশ্ন করা হলে মন্তব্য করতে চাননি চন্দ্রনাথবাবু। বৈঠকে ছিলেন মৎস্য দফতরের সচিব প্রভাত মিশ্র। ফোন ধরেননি তিনিও। জবাব মেলেনি এসএমএসের। সরকারি কর্মী নিয়োগে অর্থ দফতরের নীতি প্রযোজ্য মৎস্য নিগমের ক্ষেত্রেও। নিগমের কর্মীদের বেতন সরকারি কোষাগার থেকে হয়। তাই অস্থায়ী কর্মীর স্থায়ীকরণে অর্থ দফতরের অনুমোদন আবশ্যিক। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য নিগম সরকারি স্বশাসিত সংস্থা। ক্যাবিনেট বা অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়া অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করা যায় না।’’ ৮ ডিসেম্বরের ওই প্রস্তাবে অর্থ দফতরের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামও বলেন, ‘‘কর্মী নিয়োগের মতো সিদ্ধান্ত সরকারি স্বশাসিত সংস্থার বোর্ড একা নিতে পারে না। রাজ্যে সরকারের অধীনস্থ এ রকম কয়েকশো সংস্থা রয়েছে। সবাই নিজের মতো করে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করলে তো সরকার দেউলিয়া হয়ে যাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy